রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: আলুর বন্ড নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) কৃষকদের একাংশ। বন্ডের অভাবে আলু হিমঘরে রাখা নিয়ে তৈরি হয়েছে অচলাবস্থা। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election) মুখে এই অভিযোগকে হাতিয়ার করে তৃণমূলকে বিঁধেছে সিপিএম (CPIM)। বিতর্কের মুখে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব।
জমি থেকে আলু তোলার পর মাঠেই পড়ে রয়েছে বস্তা। এদিকে বৃষ্টির কোপ। যার ফলে নষ্ট হতে বসেছে ফসল। কষ্ট করে ফলানো ফসলের এমন অবস্থা দেখে মাথায় হাত কৃষকদের। সমস্যার জন্য হিমঘরের (Cold storage) পরিকাঠামো নিয়ে অভিযোগ করেছেন কৃষকরা। অভিযোগ, হিমঘরে রাখার জন্য আলুর বন্ড না পেয়ে বছরের শুরুতেই বিরাট অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছেন জলপাইগুড়ির আলুচাষিরা।
কী অভিযোগ:
জেলার এক কৃষক মুন্সেফ আলি বলেন, '৩৫ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। কিন্তু হিমঘরে রাখার জন্য বন্ড পাইনি। ফলে আলু তুলতে পারছি না। জমিতে পড়েই নষ্ট হচ্ছে।' সপ্তাহ দুয়েক আগে, হিমঘর থেকে আলুর বন্ড বিলিকে কেন্দ্র করে, তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয় উত্তরবঙ্গের দুই জেলা, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে। এবার আলুর বন্ড নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ তুলল জলপাইগুড়ির কৃষকদের একাংশ। জলপাইগুড়ির বাসিন্দা এক কৃষক ইসমাইল হক বলেন,'প্রকৃত কৃষক হয়েও আলুর বন্ড পাচ্ছি না। তৃণমূলের লোকজন বন্ড নিয়ে কালোবাজারি করছে। ঘুরপথে অন্য ব্যবসায়ীদের বন্ড বিক্রি করছে। আলু পড়ে নষ্ট হচ্ছে।' কিসান কার্ড রয়েছে, তবুও প্রকৃত কৃষকরা বন্ড পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা এই বন্ডের কালোবাজারি করছেন।
গড়ালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা ও উপপ্রধান শাহজাহান আলম বলেন, 'আলুর বন্ডের কালোবাজারি (Black Marketing) হচ্ছে এরকম অভিযোগ আমিও পেয়েছি। কী হচ্ছে বিষয়টি খতিয়ে দেখব।' জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পীযূষ মিশ্র বলেন, 'তৃণমূল আমলে সবকিছুতেই দুর্নীতি হচ্ছে।' বিষয়টি নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলায়।
সম্প্রতি রাজ্যের নানা জেলায় আলুর বন্ড পাওয়া নিয়ে তুমুল ঝামেলা হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে আলুর বন্ড নিয়ে কৃষকদের তোলা এই কালোবাজারির অভিযোগ সামাল দিতে কী পদক্ষেপ করবে রাজ্যের শাসক দল?
আরও পড়ুন: বাম আমলে নিযুক্ত SSC-র কর্মীদের একাংশ দুর্নীতিতে জড়িত! সেচমন্ত্রীর নিশানায় বামেরা