রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি : পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, জলপাইগুড়িতে বিজেপির ফাটল যেন ততই চওড়া হচ্ছে। এবার জেলার চার নেতাকে সাসপেন্ড করল দল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, প্রাক্তন জেলা সহ সভাপতি অলোক চক্রবর্তী। ময়নাগুড়ির প্রাক্তন ব্লক সভাপতি অনুপ পাল। এছাড়াও সাসপেন্ড করা হয়েছে ধূপগুড়ির প্রাক্তন টাউন সহ সভাপতি তপন মোহন্ত এবং ধূপগুড়ির প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি গৌতম সরকারকে। কিন্তু কী কারণে সাসপেন্ড, তার কোনও উল্লেখ করা হয়নি প্রেস রিলিজে। আর এতেই ফের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন সাসপেন্ডেড নেতারা। 


সাসপেন্ড হয়ে সুর চড়ালেন


সাসপেন্ডেড বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন সহ সভাপতি অলোক চক্রবর্তী বলেছেন, 'এই সাসপেন্ড হচ্ছে অনৈতিক সাসপেন্ড। এই ভাবে কাউকে সাসপেন্ড করা যায় না। তিন-চারজন মিলে দলটা চালাচ্ছেন। নোটিস রাজ্যের সিদ্ধান্তে ইস্যু হয়নি। জলপাইগুড়ি জেলার বুথ মণ্ডল, শক্তি মণ্ডল - সমস্ত কার্যকর্তাই জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী সাসপেন্ড করেছেন'। অপর সাসপেন্ডেড নেতা অনুপ পাল বলেছেন, 'সভাপতিকে চেয়ার থেকে নামিয়ে ছাড়ব। যথাস্থানে ওনার বিরুদ্ধে বলব। ময়নাগুড়ির পার্টি অফিসে সভাপতির লোকজন ভাঙচুর করেছিল। তারাই এখন বিভিন্ন পদাধিকারী।'


ঘটনার সূত্রপাত ঠিক কীভাবে


মাস দু’য়েক আগে জলপাইগুড়িতে বিজেপির নতুন কমিটি গঠন হয়। তখনই এই চার নেতাকে পদ থেকে সরানো হয়েছিল। তারপর থেকেই জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীর বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছিলেন তাঁরা। এবার সেই চার নেতাকেই সাসপেন্ড করল দল। যদিও এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিজেপির জেলা সভাপতি। গোটা বিষয়টিকে খোঁচা দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে 'এদের গোষ্ঠীকোন্দল মানুষ দেখছেন।'


২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়িতে চমক দিলেও, চলতি বছরের পুরভোটে ওই জেলায় ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কি দলের অন্দরের অসন্তোষ মিটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে গেরুয়া শিবির? উত্তর দেবে সময়। 


আরও পড়ুন- মদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু? বর্ধমানে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ৪ জনের রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য