রাজা চট্টোপাধ্যায়,জলপাইগুড়ি: এবার অজানা কোনও প্রানীর পায়ের ছাপকে কেন্দ্র করে ভালুক (Bear)  আতঙ্ক ছড়াল জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহরের তিস্তা উদ্যান ও সংলগ্ন এলাকায়। এদিন সকালে উদ্যানের প্রবেশ পথে কোনও অজানা প্রানীর পায়ের ছাপ লক্ষ্য করেন উদ্যানে কর্তব্যরত বন বিভাগের কর্মীরা। খবর দেওয়া হয় বন বিভাগ ও বন্যপ্রাণী বিভাগের কর্মীদের।খবর পেয়ে রামশাই, লাটাগুড়ি সহ একাধিক রেঞ্জের কর্মীরা ঘটনা স্থলে ছুটে এসেছেন। প্রানীটির খোঁজে উদ্যানজুড়ে তল্লাশি অভিযান চলছে।উদ্যানের সিসিটিভি ক্যামেরার ছবি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


পাশাপাশি পায়ের ছাপের পাশে রক্তের দাগও রয়েছে। তা  দেখে প্রানীটি আহত বলে অনুমান করা হচ্ছে।তিস্তা উদ্যানের ভেতর বড় গাছের ঝোপের আড়ালে প্রানীটি লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বন বিভাগের কর্মীরা ।দুর্ঘটনার আশঙ্কায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে উদ্যানের ভেতর সাধারন মানুষের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে বন দফতর।


কিছুদিন আগে আলিপুরদুয়ারের একটি চা বাগানে ভালুকের  দাপট সামনে এসেছিল। আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) মাঝেরডাবরি চা বাগানে আতঙ্ক ছড়াচ্ছিল একটি ভালুক। বক্সা বন দফতরের কর্মীরা ভালুকের হানা থেকে বাঁচতে বাগানের ১৩-ডি কম্পার্টমেন্ট ঘিরে রেখেছিলেন। বন দফতরের দুই কুনকি হাতি মমতাজ এবং জোনাকির পিঠে চড়ে কালকুট নদীর পার্শ্ববর্তী চা বাগানের মাঝে তল্লাশি চালাচ্ছিল বন দফতর। ভালুকটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি দিয়ে ট্র্যাঙ্কুইলাইজ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানানো হয় বন দফতর সূত্রে। ভালুকটিকে ধরে রাখতে আনা হয় খাঁচাও। বাগানের সংশ্লিষ্ট কম্পার্টমেন্টে কাজ বন্ধ রাখা হয়। পরে ঘুম পাড়ানি গুলি করে ভালুকটিকে কাবু করে বন দফতর। 


ডুয়ার্সের চা বাগানেও দেখা গিয়েছিল ভালুক-আতঙ্ক। স্থানীয়দের সতর্ক করতে মাইকে প্রচার শুরু করে বন দফতর। বিশেষ করে শিশুদের নিরাপদে রাখতে চলে প্রচার। সম্প্রতি ডুয়ার্সের বেশ কয়েকটি চা বাগানে ভালুকের দেখা মেলে। ২৪ নভেম্বর, চালসার মেটেলি চা বাগানে ভালুকের হানায় এক যুবকের মৃত্যু হয়। পরে ভালুকটিকে পিটিয়ে মারে স্থানীয় বাসিন্দারা। ২৭ নভেম্বর, নাগরাকাটার ভগতপুর চা বাগানে ভালুক দেখতে পান শ্রমিকরা। পরে ভালুকটিকে ট্র্যাঙ্কুলাইজ করে কব্জায় আনা হয়। এর পরের দিন, মালবাজারের সোনগাছি চা বাগানে দেখা মেলে ভালুকের। আতঙ্কে কাজ বন্ধ করে দেন চা শ্রমিকরা।