রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: দুই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে প্রাণনাশের (death threat) হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করলেন তৃণমূলের (TMC) শ্রমিক সংগঠনের এক নেতা। মিছিল করে গিয়ে থানায় দায়ের করলেন অভিযোগ। তাঁর অভিযোগ, দলেরই এক নেতার নাম করে দুই দুষ্কৃতী তাঁকে হুমকি দেয়। যদিও ওই নেতা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বাড়ি ঢুকে নেতাকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ
INTTUC নেতাকে বাড়িতে ঢুকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগ, দলেরই এক নেতার নাম করে ২ দুষ্কৃতী হুমকি দেয়। যদিও অভিযুক্ত নেতার দাবি, ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। অভিযোগ ঘিরে সরগরম জলপাইগুড়ি। শুক্রবার সকালে অভিযোগকারী INTTUC নেতা মিছিল করে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন কোতোয়ালি থানায়।
জলপাইগুড়ি আইএনটিটিইউসি টাউন ব্লক সভাপতি পূর্ণব্রত মিত্রর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা নাগাদ তাঁর বাড়িতে দু’জন দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ে। জেলা তৃণমূলের SC,ST,OBC সেলের সভাপতি কৃষ্ণ দাস তাদের পাঠিয়েছে বলে দাবি করে দুই দুষ্কৃতী। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সামনে যে টোটো স্ট্যান্ড রয়েছে, তার ইউনিয়নের দখল তারাই নেবে বলে দুই দুষ্কৃতী জানিয়ে দেয়। অভিযোগ, এরপর প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় INTTUC নেতাকে।
জলপাইগুড়ির আইএনটিটিইউসির টাউন ব্লক সভাপতি পূর্ণব্রত মিত্রের কথায়, হাসপাতালের সামনে টোটো স্ট্যান্ড আছে। সেকানেকরা কিছু ছেলে মাদক ব্যবসার সহ্গে যুক্ত। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্তা নেয়। আমি পুলিশকে বলেছি, এই সন্দেহে দুই দুষ্কৃতী বাড়িতে চড়াও হয়। আমাকে থ্রেট দেয়। বলে কৃষ্ণ দাস তাদের পাঠিয়েছে। যাদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে তারা জেল তেকে বেরিয়োমাকে মার্ডার করবে, হুমকি দেয়। জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েচি।
আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি রাজেশ লাকরার সঙ্গে এ নিয়ে শুক্রবার বৈঠক করেন পূর্ণব্রত মিত্র। এরপর তাঁরা মিছিল করে থানায় যান। জলপাইগুড়ির আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি রাজেশ লাকরার কথায়, দুই দৃষ্কৃতী কৃষ্ণ দাসের নাম করে হুমকি দেয়। পুিলসের কাছে অবিযোগ করলাম। এই দুই দুষ্কৃতীকে অবিলম্বে পুলিশকে গ্রেফতা করতে হবে। না হলে জেলা জুড়ে আন্দোলন হবে।
আরও পড়ুন: TMC: নন্দীগ্রামে ব্লক তৃণমূল সভাপতির ডাকা সভায় গরহাজির পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি!
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। জলপাইগুড়ি তৃণমূল কংগ্রেসের এসসি-এসটি-ওবিসির জেলা সভাপতি কৃষ্ণ দাসের কথায়, আমার নাম ভাঙিয়ে কেউ কোনও বদমাইশি করলে পুলিশকে বলেছি, তদন্তে করে ব্যবস্থা নিতে। রাজেশ লাকরা আমার নামে যে ভাবে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, তাই ওঁর নামে আমি মানহানির মামলা করব। এইভাবে প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতারা বিবাদে জড়ানোয় কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। পুলিশ সূত্রে দাবি, হুমকি দেওয়ার অভিযোগ মিলেছে, তদন্ত শুরু হয়েছে।