বিটন চক্রবর্তী, নন্দীগ্রাম: রাজ্যে (West Bengal) তৃতীয়বার তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) ক্ষমতায় আসার প্রথম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান, অথচ পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) নন্দীগ্রামে (Nandigram) সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করা নিয়েই জোর বিতর্ক। নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতির ডাকা অভিনন্দন জ্ঞাপন সভায় দেখা গেল না তৃণমূল পরিচালিত স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতিকেই! তাঁর অভিযোগ, আমন্ত্রণ জানানোই হয়নি। উল্টে বিকেলে অনুগামীদের নিয়ে নন্দীগ্রামের কেন্দামারি-জলপাইগুড়ি এলাকায় আলাদা মিছিল করলেন নন্দীগ্রাম ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি। সেই মিছিলে আবার অনুপস্থিত থাকল ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব।


নন্দীগ্রামে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল


এ নিয়েই একে অপরকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি। নন্দীগ্রাম (১) পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি আবু তাহেরের বক্তব্য, ‘আমন্ত্রণ পাইনি, তাই যাইনি। আলাদা করে মিটিং করে নিল। বিষয়টি কুণাল ঘোষ ও দোলা সেনকে জানিয়েছি। কেউ যদি ভাবে দলের সব সিদ্ধান্ত একা নেবে, তাহলে নিক।’


পাল্টা নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি স্বদেশ দাসের দাবি, ‘যাঁরা তৃণমূলকে ভালবাসেন, তাঁরা এসেছেন। যাঁরা বিভাজন করতে চান, মীরজাফরের হাত শক্ত করতে চান, তাঁরা আজ আসেননি।’


নন্দীগ্রামে বারবার বিতর্ক


নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকে শাসকদলের অন্দরে আমন্ত্রণ নিয়ে এর আগেও বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এর আগে ১৪ এপ্রিল নন্দীগ্রামে দলীয় সভায় যোগ দিতে এসে তৃণমূল নেতা আবু তাহেরের অনুগামীদের কার্যত বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন। সেদিনও নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি স্বদেশ দাসের বিরুদ্ধে তাঁকে দলীয় বৈঠকে আমন্ত্রণ না করার অভিযোগে সরব হয়েছিলেন আবু তাহের। এরপর বৃহস্পতিবার ফের একই ধরনের ঘটনা ঘটায় কটাক্ষ করার সুযোগ হাতছাড়া করেনি বিজেপি। বিজেপি তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ‘কে বড় নেতা, কে ছোট নেতা, সেটা নিয়ে দ্বন্দ্ব।’


আগামী বছর রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে নন্দীগ্রামের এক নম্বর ব্লকে তৃণমূলের দুই নেতার পরস্পরকে দোষারোপের পালা ক্রমশ বেড়েই চলেছে।