রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: হাতি ও চিতাবাঘের লড়াই-এ মৃত্যু হল চিতাবাঘের। চিতাবাঘের দেহের গায়ে হাতির পায়ের ছাপ। মৃত দেহ পড়ে রয়েছে জঙ্গলের মধ্যে। মৃতদেহ দেহ ঘিরে নানান প্রশ্ন বনকর্মী মহলে। 


সোমবার দুপুরে ডুয়ার্সের গয়েরকাটা রেঞ্জের অন্তর্গত জলঢাকা নদী সংলগ্ন জঙ্গলে টহলদারি চালাতে যান বনকর্মীরা, সেখানেই একটি চিতাবাঘের মৃতদেহ নজরে আসে তাঁদের। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানানো হয় রেঞ্জ অফিসারকে। 


ঘটনায় গয়েরকাটা রেঞ্জের রেঞ্জ অফিস সূত্রে খবর, সোমবার নাথুয়ার জঙ্গলে রুটিন টহলদারি চালাচ্ছিলেন তাঁদের বনকর্মীরা, এর পর তাঁরা একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘের মৃতদেহ দেখতে পান। তার গায়ে ও আশেপাশে হাতির পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে বনবিভাগ।


জানানো হয়েছে, দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। ঘটনায় প্রাথমিক অনুমান হাতির সঙ্গে চিতাবাঘের লড়াই হয়েছিল আর তাতেই এই চিতাবাঘটির মৃত্যু হতে পারে। তবে মৃত্যুর আসল কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।


উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই কোচবিহার (Cooch Behar)। ফের লোকালয়ে চিতাবাঘের (Leopard) হানার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এদিন সাতসকালে কোচবিহার শহরে হুলস্থুল। কোচবিহারের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কলাবাগানের বাসিন্দা মনোজ সরকারের বাড়িতে চিতাবাঘের দেখা মেলে। তাড়া খেয়ে শৌচাগারে ঢুকে পড়ে চিতাবাঘটি। ওই বাড়ির সামনে রীতিমতো ভিড় জমে যায়। খবর পেয়ে আসেন বন দফতরের কর্মীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কোতয়ালি থানার পুলিশও। নিরাপত্তার কারণে এলাকায় জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। বাড়ির চারপাশ জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। আনা হয়েছে খাঁচা। চিতাবাঘটিকে ট্র্যাঙ্কুলাইজ করার চেষ্টা করছেন বন দফতরের কর্মীরা।


কিছুদিন আগে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বাহাদুর গ্রাম পঞ্চায়েতে চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়ায়। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঙ্গা বটতলার ভোটঘাটি গ্রামের বাসিন্দারা জানান, তাঁদের চিতাবাঘের আতঙ্ক নিয়েই দিন কাটাতে হচ্ছে।


জলপাইগুড়ি সদর ব্লকে ছোট চা বাগানের মাঝে একটি মৃত বাছুর দেখতে পান স্থানীয় গ্রামবাসীরা। এরপরেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। আগের দিন থেকে ওই বাছুরটির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। যে মাঠে বাছুরটি বেঁধে রাখা হয়েছিল সেখান থেকে প্রায় একশো মিটার দূরে চা বাগানের ভিতরে মৃত অবস্থায় বাছুরটিকে দেখতে পান ওই চা বাগানের শ্রমিকেরা।