সৌভিক মজুমদার, জলপাইগুড়ি: ময়নাগুড়ি ধর্ষণ-খুনের (Maynaguri Physical Assault) ঘটনায় সিবিআই (CBI Investigation) তদন্ত চায় না পরিবার। আদালতে জানালেন নির্যাতিতার বাবার আইনজীবী কিশোর দত্ত। আচমকা নির্যাতিতার পরিবার এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রশ্ন উঠছে। মামলাকারীর প্রশ্ন, "কতটা হুমকি ও চাপে থাকলে একজন বাবাকে এই আবেদন করতে হয়! আদালতের উচিত অবিলম্বে পদক্ষেপ করা। পরিবার প্রথম থেকে বলে এসেছে সিবিআই তদন্ত চাই। আজ হঠাৎ করে বলছেন যে সিবিআই চাই না। কী এমন ঘটল যে পরিবার তাঁদের অবস্থান পরিবর্তন করল?"
এমন পরিস্থিতিতে নির্যাতিতার পরিবারকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি উঠছে। আদালতে মামলাকারী জানিয়েছেন, নিম্ন আদালতে দুটি সিজার লিস্ট পেশ করে পুলিশ। তার মধ্যে একটি সিজার লিস্টে ভুল বুঝিয়ে সই করানো হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। বলা হয়েছে, অপর সিজার লিস্টের দু’টির সই জাল। তা নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছিল পুলিশ সুপারকে। ফরেন্সিক ল্যাবে সই পরীক্ষার সুপারিশ করা হয়েছিল।
সই পরীক্ষায় আপত্তি নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। তাদের অভিযোগ, মূল অভিযুক্তর জামিন খারিজ হয়েছে ২৫ এপ্রিল। নির্যাতিতার মৃত্যুর পর আত্মহত্যায় প্ররোচনার ধারা যুক্ত হয়েছে। ‘তদন্ত বিঘ্নিত করার চেষ্টা চলছে। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা হচ্ছে বলেও দাবি কেন্দ্রের।
আদালতে রাজ্য জানিয়েছে, মূল অভিযুক্তের জামিন খারিজ হয়ে গিয়েছে গত ২৫ শে এপ্রিল। মৃত্যুর পর ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩০৫ ধারা ( নাবালক/নাবালিকাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা) যুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত বিঘ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা হচ্ছে। এটা বন্ধ হওয়া দরকার। এই মমালা সাক্ষ্য গ্রহণ , গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হয়েছে।
টানা ১১ দিন লড়াইয়ের পর গত ২৫ এপ্রিল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার। অভিযোগ ছিল, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে বাড়িতে একা পেয়ে স্থানীয় এক যুবক তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কোনওক্রমে রক্ষা পায় নাবালিকা। এর পর অভিযুক্ত যুবক আগাম জামিন নিয়ে নেয়। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, গত ১৩ এপ্রিল অভিযুক্তর সঙ্গীরা মামলা তুলে নিতে বলে নাবালিকার বাড়ি এসে খুনের হুমকি দিয়ে যায়।
আতঙ্কে পরের দিন গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে নাবালিকা। তাকে গুরুতর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মারা যায় ওই কিশোরী। তার মৃত্যুতে গোড়া থেকেই পরিবারের তরফে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হচ্ছিল। এ বার সেই অবস্থান থেকেই এ বার সরে এল তারা