সন্দীপ সরকার, ফলতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পুলিশের হাতে গ্রেফতার ফলতার তৃণমূল নেতা। ধৃত ব্যক্তি ফলতার দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান। ধৃতের নাম সনাতন প্রামাণিক। নিজের বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 


নতুন অভিযোগে গ্রেফতার:
সম্প্রতি ফলতায় এক ইঞ্জিনিয়ারকে বেদম মারধরের অভিযোগ ওঠে। মারধরে বাধা দেওয়ায় ওই ইঞ্জিনিয়ারের স্ত্রীকেও মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনায় মারাত্মকভাবে জখম হয়েছিলেন ওই মহিলা। তোলা না দেওয়ায় ওই ইঞ্জিনিয়ারকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল। ফলতার ওই ঘটনাতেও অভিযোগ রয়েছে এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। তবে এদিন তাঁকে অন্য একটি মামলা গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  এক মাছ ব্যবসায়ীকে প্রতারণা ও মারধরের অভিযোগ রয়েছে ওই নেতার বিরুদ্ধে। 


আগেও নানা অভিযোগ:
সম্প্রতি আরও একটি অভিযোগে নাম জড়িয়েছিল ধৃত নেতার। মাটি ফেলার কাজের জন্য ২ লক্ষ টাকা তোলা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই টাকা দিতে না চাওয়ায় ফলতায় এক ইঞ্জিনিয়ার ও তাঁর স্ত্রীকে, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে। মারধরের ঘটনা ধরা পড়েছিল ভাইরাল ভিডিওতে। আক্রান্ত বাসিন্দা কুন্তল মজুমদারের দাবি ছিল, তাঁর বাড়ির ৫ বিঘা জমিতে রয়েছে নার্সারি। অভিযোগ, গতবছর জমিতে মাটি ফেলার সময় ৫০ হাজার টাকা তোলা চান তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান সনাতন প্রামাণিক। তা দিতে না চাওয়ায় ঝামেলা শুরু হয়। টাকা না দিয়ে কাজ শুরু করায় হামলা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এর পরই মাটিতে ফেলে তাঁকে বাঁশ দিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ কুন্তলের। তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে বাঁচাতে এলাকায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে ছুটে যান তাঁর স্ত্রী জুলি মজুমদার, যিনি নিজেই কিনা তৃণমূলের শিক্ষা সেলের সদস্য। অভিযোগ, তাঁকেও চুলের মুঠি ধরে ভিতরে টেনে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি তাঁর স্ত্রী। বেধড়ক মারধরে তাঁর শিরদাঁড়ায় চিড় ধরেছে বলে জানা গিয়েছে।


আরও পড়ুন: পাথর ফেলা নিয়ে বিবাদ, তার জেরেই তিনটে নৃশংস খুন? পলাশিপাড়ায় গ্রেফতার প্রতিবেশী