রাজা চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি : ডিসেম্বরে কলকাতা পুরভোটে রেকর্ড আসনে  জয় । সদ্য সমাপ্ত ৪ পুরসভার ভোটের ফলেও একচেটিয়া দাপট।  বিরোধীদের ধরাশায়ী করে, একের পর এক পুরসভায় বিশাল ব্যবধানে ধারাবাহিক জয়। সেই ট্রেন্ডকে জনমানসে তুলে ধরেই, যেন বাকি ১০৮টি পুরসভার ভোটের মহড়া শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল! এরই মধ্যে পুরভোটের আগে বিরোধীদলের প্রার্থীদের ফেস্টুন, ব্যানার পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জলপাইগুড়ির ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা।

অভিযোগ, শুক্রবার রাতে বিজেপি প্রার্থী যূথিকা রায় বসুনিয়া ও সিপিএম প্রার্থী বাবলি মহন্তর ফেস্টুন, ব্যানার খুলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পতাকাও পোড়ানো হয় বলে অভিযোগ। এ নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানিয়েছে বিরোধীরা। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের। টিকিট না পেয়ে, ৬ ফেব্রুয়ারি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন যূথিকা রায় বসুনিয়া। তৃণমূলত্যাগী নেত্রীকে ১১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করেছে বিজেপি।  


এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি, জলপাইগুড়ি জেলা যুব তৃণমূল সভাপতির এক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়। তিনি প্রকাশ্যে দাবি করেন,' তৃণমূল ছাড়া অন্য কোনও পার্টি নেই। বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস - কেউ ভোট পাবে না। তৃণমূল প্রার্থীকে জয়যুক্ত করলেই এলাকার উন্নয়ন হবে। '  জলপাইগুড়ি পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে ভোট চাইতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করেন সৈকত চট্টোপাধ্যায় । তা নিয়ে শুরু হয়ে ?যায় জোর রাজনৈতিক তরজা। 


২৭ ফেব্রুয়ারি জলপাইগুড়ি সহ রাজ্যের শতাধিক পুরসভায় ভোটগ্রহণ। জলপাইগুড়ি পুরসভার মোট ওয়ার্ড ২৫টি। এর মধ্যে তৃণমূলের দখলে ১৫টি ওয়ার্ড। ৫টি বাম ও বাকি ৫টি ওয়ার্ড কংগ্রেসের দখলে। 


আরও পড়ুন :


ফের বৃষ্টির ভ্রূকুটি শহরে, কবে থেকে ভিজবে শহর ?



অন্যদিকে, পুরভোটের আগে ফের বিস্ফোরক উদয়ন গুহ। আলাদা রাজ্যের দাবিতে কোচবিহারের মিছিল বের করলে, হাঁটু নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন না। তুফানগঞ্জের নির্বাচনী সভায় এভাবেই হুমকি দিলেন জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান। তৃণমূল বিধায়ক দাবি করেন, দিনহাটায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি। সেখান থেকে তাঁকে মুছে ফেলা হয়েছে। আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লাকেও এখান থেকে মুছে ফেলার দায়িত্ব নিতে হবে সাধারণ মানুষকে