জলপাইগুড়ি:  জলপাইগুড়ি পুরভোটে (Jalpaiguri Municipal Election 2022) নির্দল প্রার্থী (Independent Candidate) হিসেবে মনোনয়ন (Nomination) জমা দিতে গিয়ে আটক বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা (Rebel TMC leader)। ওই বিক্ষুব্ধ নেতা মলয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Moloy Banerjee) দাবি, দলের প্রথম প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয় তালিকায় বাদ পড়েন। এরপরই নির্দল হিসেবে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা। প্রভাবশালী কয়েকজন নেতার ষড়যন্ত্রেই এই ঘটনা বলে তাঁর দাবি। গতকাল মনোনয়ন জমা দিতে এলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতার। টেনে-হিঁচড়ে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ফের আজ সকালে অনুগামী ও আইনজীবীকে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে যান বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা। সরকারি কাজে বাধা ও কোভিড বিধিভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে আটক করে পুলিশ। তৃণমূল নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া এখন মেলেনি।


উল্লেখ্য, রাজ্যের আসন্ন পুরসভার ভোটে তৃণমূলের  প্রার্থী তালিকা নিয়ে জেলায় জেলায় অসন্তোষ ছড়িয়েছে। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের দিন থেকেই  তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের একাংশের অসন্তোষ সামনে আসে।বিভিন্ন জায়গাতেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।   প্রার্থী হতে না পেরে তৃণমূল নেতাদের মধ্যে কেউ কেউ নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আবার কেউ কেউ দল বদলেছেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতাকে আটক করার ঘটনা সামনে এল। ওই বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতার দাবি, জলপাইগুড়ি পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তাঁর নাম তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় ছিল।  কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই সেই নাম বাদ পড়ে। অন্য একজনকে প্রার্থী করা হয়। তাঁর অভিযোগ, দলের কোনও প্রভাবশালী নেতার চাপেই তাঁর নাম বাদ গিয়েছে। এরপরই তিনি নির্দল হিসেবে ভোটে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তাঁকে সরকারি কাজে বাধাদান ও করোনা বিধি ভঙ্গের অভিযোগে পুলিশ আটক করে। এই নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে  মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে প্রচুর সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।