কলকাতা : ওজন ঝরানোর রেজলিউশন বোধ হয় প্রতিদিনই অনেকেই নিচ্ছেন। কিন্তু লোভনীয় খাবার সামনে এলেই মনেপর সব আগল যায় খুলে। আর অন্তর বলে, কাল থেকে না হয় ডায়েটটা শুরু করা যাক! আসলে কম খেলেই ওজন ঝরবে , কিংবা স্কিপ করতে হবে খাবার, এই ধারণা বোধ হয় অনেকেরই । কিন্তু পুষ্টিবিদদের মত কিন্তু একেবারেই আলাদা। তাঁরা বলছেন, কী খাবেন, তার থেকেও বড় কথা হল কতটুকু খাবেন আর কখন খাবেন। 

করোনাকালে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করে করে ওজন বাড়িয়ে ফেলেছেন ? ভাবছেন কী খেলে থাকবেন স্লিম-ট্রিম ? না, কম খাওয়া নয়, ঠিক খাবার বেছে নেওয়াটাই আসল কথা ! পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদ, ঈশানী ভৌমিক বারুই।

দিন শুরুতে :


অনেকেই আমরা চা- কফি দিয়ে দিন শুরু করি। সঙ্গে থাকে বিস্কিট। এই অভ্যেস কিন্তু খুব একটা স্বাস্থ্যকর নয়। এমনটাই মত পুষ্টিবিদের। ঈশানীর পরামর্শ, দিন শুরু হোক হালকা গরম জল দিয়ে। কিংবা সাধারণ তাপমাত্রার জল। 

ব্রেকফাস্ট: 

দিনের শুরু হয় ব্রেকফাস্ট দিয়ে। এটাই আমাদের যাবতীয় এনার্জির উৎস। তাই ব্রেকফাস্ট স্কিপ তো করা যাবেই না। বরং এই খাবারটা হতে পারে একটু পেট ভরানো। যেমন খেতে পারেন




  • সবজি দেওয়া পোহা। সবজি থাকুক বেশি পরিমাণ, আর পোহা একটু কম। 

  • চলতে পারে কম তেলে রান্না করা সবজি ও হাতে গড়া রুটি 

  • ওটস খুব ভাল ব্রেকফাস্ট অপশন। কোনও ফল চলতে পারে তার সঙ্গে। 

    দুপুরের খাওয়া 


  • লাঞ্চে ভাত খেতে পারেন স্বল্প পরিমাণে। সঙ্গে থাকুক বেশি পরিমাণে সবজি। 

  • ওটসও চলতে পারে লাঞ্চে

  • ওটসের খিচুড়ি দারুণ বিকল্প ভাতের 

  • লাঞ্চের সঙ্গে দই নয়। আধঘণ্টা পরে খান। দই একটা মিনি মিলও হতে পারে। 

    বিকেলের টিফিন


  • বিকেলের টিফিনের জন্য আপনার সঙ্গে রাখুন সামান্য ড্রাই ফ্রুটস 

  • রোস্টেট ফক্স নাট ও খেতে পারেন। স্থানীয় দোকানে মাখনা বললেই পেয়ে যাবেন এগুলি । 

  • এগুলি খেলে এড়িয়ে চলতে পারেন স্ন্যাক্সিডেন্টের (Snaccident) প্রবণতা । 

  • মরশুমি ফলও রাখতে পারেন স্ন্যাক্সে।

    রাতের খাবার 


 রাতের খাবার হোক হাল্কা, যা সহজে হজম হয়। আর ঘুমোতে যাওয়ার ২ ঘণ্টা আগেই রাতের খাবার খেয়ে নিতে পারলে ভাল। 



  • মিক্স ভেজ বা স্যুপ থাকুক ডিনারে।

  • স্টার ফ্রায়েড পনির খেতে পারেন। 

  • চিকেন ও সবজি হালকা তেলে স্যঁতে করে নিতে পারেন। 

    এর সঙ্গে কিন্তু রোজ কায়িক পরিশ্রম, এক্সারসাইজও মাস্ট। তবে এই টিপসগুলি দেওয়ার সঙ্গে পুষ্টিবিদ বড়ুয়া মনে করিয়ে দিলেন, সবার জন্য কিন্তু একই ডায়েট চার্ট নয়। ওজন, শরীরের পরিস্থিতি, রোগ বালাই , সবকিছু বিবেচনা করেই পার্সোনালাইজড ডায়েটচার্ট করে দেন তাঁরা।