রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে নৃশংসভাবে খুন হলেন যুবক। ঘটনায় প্রেমিকা, তাঁর স্বামী-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানার পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া উত্তর সুকান্তনগর এলাকায়।স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান ওই গৃহবধূ। এ নিয়ে দাম্পত্য অশান্তি চলছিল।
স্ত্রীকে নিয়ে জামাইবাবু দীনেশ বর্মনের বাড়িতে থাকতেন পরেশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে রাজা বসাক বাড়িতে এলে তাঁকে ঘরের ভেতর আটকে দেয় পরেশ। এরপর জামাইবাবুকে সঙ্গে নিয়ে রাজা বসাককে কুপিয়ে খুন করে সে। এর পর তাঁকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনায় পরেশ বর্মন, স্ত্রী রিনা বর্মনসহ তার জামাইবাবু দীনেশ বর্মনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মৃতের মায়ের অভিযোগ 'ওই মহিলার সঙ্গে প্রায় ছয়-সাত মাস সম্পর্ক ছিল। গতকাল বাড়িতে ওই যুবককে ডেকে স্ত্রীর সামনেই হাত কেটে, চোখ উপড়ে, কুপিয়ে খুন করে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। মৃতের মায়ের দাবি, মারধরের পর যুবককে বেঁধে রেখে খুন করা হয়। অভিযুক্তপক্ষের দাবি, মত্ত অবস্থায় এসে বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় ওই যুবক। তা নিয়ে বচসার জেরেই খুন।
এই একই দিনে বরানগরের এ কে মুখার্জি রোডে দাম্পত্য বিবাদে চলল গুলি। পুলিশ সূত্রে খবর, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। স্ত্রী বাপের বাড়িতে চলে যান। গতকাল তাঁকে ফিরিয়ে আনতে যায় স্বামী। রাজি না হওয়ায় ওই যুবক রাতে শ্বশুরবাড়ির সামনে ২ রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ফেরার। তার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা ও অস্ত্র আইনে মামলা রুজু হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকালই সরকারি আবাসনে খুন হলেন রেলকর্মী। ঘটনাস্থল পশ্চিম বর্ধমানের কুলটি। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করে পুলিশ। মৃতের নাম চন্দন পাসোয়ান। স্থানীয় সূত্রে খবর, কুলটির চিনাকুড়ি এলাকায় রেলের আবাসনে একাই থাকতেন রেলের বিদ্যুৎ বিভাগের ওই কর্মী। তাঁর পরিবার থাকে হাওড়ায়। গত বুধবার রাত ১০টা নাগাদ আবাসনের ভিতর থেকে বছর পঞ্চান্নর রেল কর্মীর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। মাথাতেও আঘাতের চিহ্ন ছিল। খুনের নেপথ্যে অন্য কোনও কারণও রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
১১ অগাস্ট লালগোলার বাখরপুর এলাকাতেও একই ঘটনা ঘটেছে। স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই স্বামীর রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় লালগোলার বাখরপুর এলাকায়। আর এই অভিযোগের জেরে অত্যাচারের শিকার হন অভিযুক্ত গৃহবধূ। ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে স্বামীর মৃত্যুর অভিযোগে ওই গৃহবধূকেও গ্রেফতার করেছে লালগোলা থানার পুলিশ।
১০ অগাস্ট বিকেলে ওই এলাকায় উত্তেজনা চরমে ওঠে। মৃত মাসাদুরের বাড়ির লোকজন এবং উত্তেজিত গ্রামবাসীরা মিলিত হয়ে ওই মৃত ব্যক্তির স্ত্রী, অভিযুক্ত ফুলটুসি বিবির মাথার চুল কেটে তাঁকে গোটা গ্রামে ঘোরায়। এরপর ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছয়। তাঁরাই ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে বলে জানা গেছে।