রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: রাস্তায় জমে জল। অফিস যাওয়ার পথে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন জলপাইগুড়ির নাগরকাটার বিডিও। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবেস আশ্বাস দেওয়ার পর, ছাড়া হল বিডিওর গাড়ি।


বৃষ্টি কমলেও, রাস্তা থেকে নামেনি জল।  বিহিত চেয়ে বিডিওর গাড়ি আটকে চলল বিক্ষোভ। শুক্রবার দুপুরে অফিসে যাওয়ার পথে এভাবেই ঘেরাওয়ের মুখে পড়েন জলপাইগুড়ির নাগরাকাটার বিডিও। ব্যবসায়ীদের দাবি, নাগরাকাটা বাজারের এই রাস্তায় জল জমে থাকায়, আসতেই চান না ক্রেতারা। তাঁদের আশঙ্কা, পুজোর আগে ব্যবস্থা না নিলে ব্যবসা মার খাবে। তাই রাস্তায় বিডিওয়ে পেয়ে দ্রুত মেরামতির দাবিতে, তাঁর গাড়ি আটকে চলে বিক্ষোভ। আমন সোনি নামের নাগরাকাটার এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘একটু বৃষ্টি হলে এখানে জল জমে যায়, তিন বছর ধরে আমরা সমস্য়ায়, এরপর কাজ না হলেও বিডিওকে ছাড়ব না।’


অন্যদিকে নাগরাকাটার বিডিও বিপুল মণ্ডল বলেন, ‘রাস্তার প্রস্তাব জেলায় পাঠিয়েছি, যাতে কাজটা হয়ে যায় দেখব।’ জমা জল ইস্যুতে বিডিওর গাড়ি আটকানো নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর। জলপাইগুড়ির বিজেপির জেলা সহ সভাপতি অলোক চক্রবর্তী, ‘শিলান্যাস ও কাগজকলমে এই সরকার চলছে, যতক্ষণ না কাটমানি পৌঁছাচ্ছে ততক্ষণ এর কাজ সম্পূর্ণ হবে না।’জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের  তৃণমূল নেতা ও সদস্য অমরনাথ ঝা বলেন, ‘ওখানে একটা সমস্যা আছে, আমাদের নজরে আছে, খুব শীঘ্রই কাজ করব, প্রশাসনের লোককে এভাবে ঘেরাও করা ঠিক নয়।’ দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে, মিনিট ১৫ পর ঘেরাওমুক্ত হন বিডিও। 


এর আগেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জমা জলে দুর্ভোগের সম্মুখিন হতে হয়েছিল সাধারণ মানুষকে। কিছুদিন আগে শ্রীরামপুরে নয়ানজুলি ভরাট হয়ে যাওয়ায় কয়েক হাজার বিঘা জমি (Agricultural Land) জলের তলায় চলে গিয়েছিল। ধান জমি,সব্জি, কলা চাষের জমিতে কোথাও এক কোমর, কোথাও এক হাঁটু জল দাঁড়িয়ে। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ কৃষকদের।


দিল্লি রোডের দুই ধারে পিয়ারাপুর ও বিঘাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় পাঁচ হাজার বিঘা জমিতে চাষাবাদ বন্ধ ছিল। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দিল্লি রোডের দুই পাশের নিকাশি নয়ানজুলি বুজিয়ে তৈরি হচ্ছে হোটেল সহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। চাষের জমির পাশাপাশি পিয়ারাপুরে কিছু জায়গায় ঘর বাড়িতেও জল ঢুকেছে।