রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: 'ময়নাগুড়ির প্রাক্তন বিধায়ক তথা পুরসভার চেয়ারম্যান অনন্তদেব অধিকারি (Ananta Deb Adhikari) তো চুনোপুঁটি, হাজারো অনন্তদেব অধিকারি ঘুরে বেড়াচ্ছে। ইডি -সিবিআই (ED, CBI) এদের গ্রেফতার করে, তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করুক', এই দাবিতে ইডি ও কোর্টের (Court) দ্বারস্থ হচ্ছে জেলা বিজেপি নের্তৃত্ব (BJP)।
'হাজারো অনন্তদেব অধিকারি ঘুরে বেড়াচ্ছে, তৃণমূলের ৫০-এর বেশি নেতাদের তালিকা আমাদের কাছে আছে'
সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী জানান, 'এই ঘোটালায় শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায় যুক্ত নন জেলার নেতাদের থেকে এই টাকা কালেকশন হয়েছে, তৃণমূলের পঞ্চাশের বেশি নেতাদের তালিকা আমাদের কাছে আছে। আমরা ঠিক জায়গায় সেই তালিকা আমরা পাঠাবো। তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি, জেলাপরিষদের সভাধিপতি, সহকারী সভাধিপতি থেকে পুরসভা, পঞ্চায়েত স্তর, ব্লক স্তরের আত্মীয়দের বেআইনি ভাবে যোগ্যতা ছাড়াই চাকরি করছেন। এমনকি অনেকের ভেরিফিকেশন ছাড়াই চাকরি হয়েছে। সব তথ্য আমাদের কাছে আছে,' এমনি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বিজেপির।
আরও পড়ুন, ব্রুনেইয়ের সুলতানের থেকেও বেশি বান্ধবী: শুভেন্দু অধিকারী
তৃণমূলের মেগা ইভেন্টের পর ইডি ঝড়
প্রসঙ্গত, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় রাজ্যে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী সহ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। একুশে জুলাইয় শহিদ দিবসে তৃণমূলের মেগা ইভেন্টের পর ইডি অভিযান স্বাভাবিকভাবেই ঝড় তোলে রাজ্যে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিপুল অর্থের হদিশ মিলেছে। টালিগঞ্জে ডায়মন্ড সিটি সাউথের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থেকে এখনও পর্যন্ত ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার গয়না ও প্রায় বহু মূল্যের বিদেশি মুদ্রা। কলকাতা ও শহরতলি এলাকায় অর্পিতার অনেক ফ্ল্যাটের হদিশ মিলেছে।জমি-বাড়ির দলিল বাজেয়াপ্ত করেন ইডি-র আধিকারিকরা।
ইডি তল্লাশির পর ফের টাকা উদ্ধার
বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে শিক্ষা দফতরের খাম। ইডি-র দাবি, পার্থ ও অর্পিতা, দু’জনের বাড়ি থেকেই যৌথ নামে বেশ কিছু নথি মিলেছে। এর কারণ জানতে চান ইডি-র তদন্তকারীরা। এদিন ফের বেলঘড়িয়ায় অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে ইডি তল্লাশির পর ফের টাকা উদ্ধার হয়েছে। যদিও এই মুহূর্তে মন্ত্রী পার্থ-কে অপসারণের দাবি নিয়েই তুঙ্গে শুভেন্দুরা। ভারপ্রাপ্ত রাজ্যপালের কাছে মন্ত্রী পার্থ-কে অপসারণের দাবি নিয়ে রাজভবনে এদিন রাজ্যের বিরোধি দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । এদিন তিনি বলেন, 'বাংলার সরকার সংবিধান মানে না। বিরোধী-শাসকের সহবস্থান মানে না সরকার।'