রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: উপনির্বাচনে (WB By Poll 2022) ধাক্কা খাওয়ার পর অস্বস্তি বাড়ছে বঙ্গ বিজেপিতে (BJP) । জেলা নেতৃত্বের সমালোচনা করে মুখ খুললেন জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) প্রাক্তন সহ সভাপতি অলোক চক্রবর্তী। সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে বর্তমান জেলা সভাপতির দাবি, সক্রিয় কর্মীদেরই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।


জেলায় জেলায় বিজেপিতে বিদ্রোহ: উপনির্বাচনে আসানসোল ও বালিগঞ্জে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। তারপর থেকেই জেলায় জেলায় বিজেপিতে দেখা দিয়েছে বিদ্রোহ। রবিবার রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদ ও বহরমপুরের দুই বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ এবং সুব্রত মৈত্র। দলের রাজ্য সম্পাদকের পদ ছেড়েছেন গৌরীশঙ্কর। বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার ১০ নেতাও পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে রাজ্য নেতৃত্বকে চিঠি দিয়েছে। এবার ক্ষোভের সুর শোনা গেল জলপাইগুড়ির বিজেপির প্রাক্তন সহ সভাপতি অলোক চক্রবর্তীর গলায়। দলের সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, অনেক যোগ্য নেতাকেই বঞ্চিত করেছে বর্তমান জেলা নেতৃত্ব। অলোক চক্রবর্তী বলেন, “খাঁটি সোনা ছাড়া দল চলতে পারে না। এখন দলে অদক্ষ কর্মীদের সামনে এনে পিছনে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে দক্ষ কর্মীদের।’’


সম্প্রতি জলপাইগুড়ি জেলায় মণ্ডল সভাপতি পদে রদবদল করে গেরুয়া শিবির। আগে মণ্ডল সভাপতি ছিলেন ৩৩ জন।এবার তা বেড়ে ৩৫ করা হয়েছে। তারমধ্যে ৩১ জনই নতুন মণ্ডল সভাপতি হয়েছেন। একসঙ্গে এত নতুন মুখ আনায় বর্তমান জেলা নেতৃত্বের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে তীব্র বিষোদগার করেছেন প্রাক্তন জেলা সহ সভাপতি।  যা শুনে প্রাক্তনকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপির বর্তমান জেলা সভাপতি।


জলপাইগুড়ির বিজেপি সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “যারা পার্টির মিটিং মিছিল বাদ দিয়ে শুধু ফেসবুক, হোয়াটস্যাপ, ট্যুইটার নিয়ে পার্টি করবে তাদের কী প্রয়োজন, তাই এবার নবীনদের সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’’ এই অবস্থায় পাল্টা খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল। জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি অভিজিৎ সিংহ  বলেন, “এই মুহূর্তে বিজেপি কোনও লোক পাচ্ছে না আর বিজেপিতে রাজনীতিগত ভাবে কেউ যোগ দিতেও চাইছে না, নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।’’


আরও পড়ুন: North 24 Parganas News: অনুব্রতকে নিয়ে বিস্ফোরক বিজেপি বিধায়ক, বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের তৃণমূলের