রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: বিলাসবহুল বাসে করে পাচার করা হচ্ছিল বহু মূল্যের সেগুন কাঠ (Wood)। গোপন সূত্রে খবর পেয়েই অভিযান চালায় বন দফতর এবং ধূপগুড়ি (Dhupguri) থানার পুলিশ। এরপরই ধূপগুড়ির ঝুমুর এলাকা থেকে কলকাতাগামী একটি বাস থেকে বিপুল সংখ্যক অবৈধ সেগুন কাঠ উদ্ধার হয়।


উদ্ধার সেগুন কাঠ-


জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে ধূপগুড়ি থানার পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে যে, কলকাতাগামী একটি বিলাসবহুল বাসে করে পাচার করা হচ্ছে বিপুল সংখ্যক অবৈধ সেগুন কাঠ। খবর পাওয়া মাত্র বন দফতরের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালায় ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে ফালাকাটা থেকে কাঠগুলোকে সাদা বস্তার মধ্যে প্যাকিং করে দূরপাল্লার বিলাসবহুল বাসে তোলা হয়। গোপন সূত্রে খবর আগেই ছিল। সেই মতো ধুপগুড়ির ঝুমুর ওভারব্রীজ সংলগ্ন একটি ধাবার সামনে বাসটিকে দাঁড় করান পুলিশ ও বন দফতরের কর্মীরা। এরপরই আটক করা হয় বিপুল সংখ্যক সেগুন কাঠগুলি। উদ্ধার হওয়া সেগুন কাঠগুলির বৈধ কাগজপত্র রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেv বন দফতরের আধিকারিকরা। পাশাপাশি উদ্ধার হওয়া কাঠের মূল্য কত হবে, সেটাও খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। 


পুলিশ ও বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কী করে এই বিপুল সংখ্যক সেগুন কাঠ পাচার করা হচ্ছিল, ফালাকাটা এবং শালবাড়ির কোন জায়গা থেকে কাঠগুলি গাড়িতে তোলা হয়, কোন জঙ্গল থেকে চোরাই কাঠগুলি বের করা হয়েছিল, সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গোটা ঘটনার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছেন মরাঘাট রেঞ্জের বনকর্মীরা।


আরও পড়ুন - Jalpaiguri: উত্তরবঙ্গে হল 'বাঘ সুমারি', তিন দিন ধরে একাধিক নমুনা সংগ্রহ বন দফতরের


প্রসঙ্গত, গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে শিলিগুড়ি থেকে কলকাতায় চোরাই কাঠ পাচারের আগেই গ্রেফতার হন কেন্দ্রীয় রাজস্ব শুল্ক দফতরের এক অফিসার এবং একজন জিএসটি অফিসার। বন বিভাগ সূত্রে খবর পাওয়া যায়, গোপন সূত্রে খবর আসে শিলিগুড়িতে কাস্টমসের ব্যবহৃত একটি গোডাউনে লুকিয়ে রাখা রয়েছে বিপুল পরিমাণ সেগুন কাঠ। এরপরই গোপনে নজরদারি শুরু করে বনবিভাগ। পরে ওই কাঠ শিলিগুড়ি থেকে কলকাতার উদ্দেশে পাচারের জন্য রওনা হলে বমাল গ্রেফতার হন সাতজন। বনবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত এই সাতজনের মধ্যে একজন কাস্টমস সুপারিন্টেন্ডেন্ট এ কে মাঝি। অন্যজন জিএসটি অফিসার দেবাশীস ধর রয়েছেন। এঁদের মধ্যে জিএসটি অফিসার দেবাশীস ধর আগেও নানা কুকর্মের জন্য সাসপেন্ড হয়েছিলেন। ধৃতদের হেফাজত থেকে ২৫ লক্ষ টাকার সেগুন কাঠ উদ্ধার করেন বনবিভাগের আধিকারিকরা। আটক করা হয় কাঠ বোঝাই লরি এবং নীল বাতি লাগানো একটি স্করপিও গাড়ি।