রাজা চট্টোপাধ্যায়,জলপাইগুড়ি: রাজ্যে এই প্রথম রেড পান্ডার (Red Panda) চামড়া উদ্ধার। নেপাল থেকে ভুটান পাচারের আগেই বেলাকবা রেঞ্জের হাতে দুটি রেড পান্ডারের চামড়া ও একটি চিতা বাঘের চামড়া উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। একটি নেপাল (Nepal) নম্বরের বাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।


বন দপ্তর সুত্রে জানা গিয়েছে, গোপন খবরের ভিত্তিতে ওত পেতে বসে ছিল বেলাকবা রেঞ্জের রেঞ্জার সঞ্জয় দত্ত সহ বনকর্মীরা। মাটিগারার কাছে, সেখানে একটি নেপাল নম্বরের বাইক দেখে সন্দেহ হয়। বাইকে  তিনজনের কাছে তিনটি স্কুল ব্যাগ দেখতে পেয়ে পিছে ধাওয়া করে। শিলিগুড়ির কাছে পিডবলু মোড়ের কাছে বাইক দাঁড় করিয়ে তল্লাশি করতেই স্কুল ব্যাগে দেখা যায় দুটি  রেড পান্ডার চামড়া ও একটি চিতা বাঘের চামড়া। সঙ্গে সঙ্গে তিন জনকে গ্রেপ্তার করে। বেলাকবা রেঞ্জে নিয়ে এসে জেরা করা হলে জানা যায়, রেড পান্ডার চামড়া ও চিতা বাঘের চামড়া গুলি নেপাল থেকে ভুটান পাচারের  উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ধৃত তিন জনের নাম চন্দ্র প্রসাদ চামজিং, গবিন্দ সুনবা লিম্বু এবং ইকপু শেরপা। সকলে নেপালের বাসিন্দা। সকলকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে। বুধবার  কোর্টে তোলা হয়েছে।


প্রসঙ্গত, এর আগেও বড়সড় সাফল্য পেয়েছে বন দফতর । উদ্ধার করা হয়েছিল চিতা বাঘের চামড়া। গ্রেফতারও করা হয় দুই অভিযুক্তকে।পাচার করার পরিকল্পনা ছিল উদ্ধার হওয়া চিতাবাঘের চামড়াগুলি। কিন্তু বনকর্মীদের তৎপরতায় পাচার হওয়ার আগেই উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে দুই অভিযুক্তকে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম পাসাং লামা ও সিরিং তামাং। তারা দু'জনেই দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা। গোপন সূত্রে খবর মিলেছিল আগেই। তাতেই তৎপর হয় বনকর্মীরা।


আরও পড়ুন, ব্যাঙ্কে টাকা প্রকাশ্যে রেখেছিলেন অনুব্রত, কী করছিল আয়কর দফতর ? প্রশ্ন দেবাংশুর 


বন দফতর সূত্রে খবর, গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে অভিযানে নামেন তাঁরা। শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি রাস্তার জলপাইমোড়ের কাছে একটি চার চাকার যাত্রীবাহী ছোটো গাড়ি দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের। সঙ্গে সঙ্গে সেটিকে আটক করে তল্লাশি চালানো হয়। গাড়ির মধ্যে থেকে একটি সুটকেস পাওয়া যায়। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় চিতা বাঘের চামড়া। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় দুই অভিযুক্তকে। বন দফতর সূত্রে আরও খবর, উদ্ধার হওয়া চিতা বাঘের চামড়াটি এক পূর্ণ বয়স্ক চিতা বাঘের। বনকর্মীদের অনুমান চিতা বাঘটি শিকার করে চামড়াটি নেপালে পাচারের উদ্দেশ্য ছিল পাচারকারীদের। ধৃতদের জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হয় তারপরে বিচারের জন্য।