রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: সিকিম (Sikim) পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টির জের (Rainfall)। জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) তিস্তা (Teesta) ব্যারেজ থেকে আজ সকালে ছাড়া হয় জল। ফলে জলস্তর বেড়েছে তিস্তা নদীতে। তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় জারি হয়েছে লাল সতর্কতা (Red Alert)। তিস্তার সংরক্ষিত এলাকায় শহরাঞ্চলে দোমোহনি থেকে বাংলাদেশ (Bangladesh) পর্যন্ত হলুদ সতর্কতা (Yellow Alert) জারি রয়েছে। একইভাবে ভুটান পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টির জেরে ডুয়ার্সের জলঢাকা নদীতে জলস্তর বাড়ায় সংরক্ষিত ও অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে সেচ দফতর।


উত্তরবঙ্গে বর্ষার প্রবেশ: ইতিমধ্যেই বর্ষা ঢুকেছে উত্তরবঙ্গে। আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গের (North Bengal) বিভিন্ন জেলায়। আর এই ভারী বৃষ্টির জেরেঅ জলপাইগুড়ির বিভিন্ন নদীতে জলস্ফীতি। এর মধ্যেই শনিবার ধূপগুড়ি শহরে গিলান্ডি নদীতে বন্ধুর সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়ে তলিয়ে যায় ১২ বছরের বালক। তল্লাশি চললেও তার খোঁজ মেলেনি। অন্যদিকে, স্নান করতে নেমে জলপাইগুড়ি শহরে করলা নদীতে তলিয়ে যান ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানের এক শ্রমিক। গতকাল সকালে চা বাগান থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে নদীতে তাঁর মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায়। 


টানা বৃষ্টির জেরে ধস: রাতভর টানা বৃষ্টির জেরে ধস নামল সেবকের কাছে কালিঝোরাতে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে। ৭ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রইল শিলিগুড়ি, কালিম্পং ও সিকিমের মধ্যে। পাহাড় ঘেঁষা জাতীয় সড়কে পড়ে বিশালাকার পাথরের চাঁই। কোথাও জমে জল, তো কোথাও জমে ধসের অংশ বিশেষ। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে গাড়ির পর গাড়ি। এই ছবি ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের। যার ফলে সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রইল শিলিগুড়ি, কালিম্পং ও সিকিমের মধ্যে।স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার ভোর ৫টা নাগাদ সেবকের কাছে কালিঝোরাতে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামে।এই জাতীয় সড়কই কালিম্পং ও শিলিগুড়িকে সংযুক্ত করে। সিকিমে যাওয়ার ক্ষেত্রেও অন্যতম রাস্তা এটি। ধসে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বহু গাড়িকে দার্জিলিং হয়ে গন্তব্যে পাঠানো হয়। এদিকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলতে থাকে ধস সরানোর কাজ। অনেকেই হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছনোর চেষ্টা করেন। বেলা ১২টা নাগাদ ফের শুরু হয় যান চলাচল।


আরও পড়ুন: North 24 Parganas Weather Update: আজ কত উত্তর ২৪ পরগণার তাপমাত্রা?