রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: রেল কর্মী ও চালকের তৎপরতায় অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল শিয়ালদহ-নিউ আলিপুরদুয়ারগামী পদাতিক এক্সপ্রেস (Sealdah New Alipur Duar Padatik Express)। রানিনগর স্টেশন থেকে ছেড়ে পাঁচ কিলোমিটার পেরিয়ে, জলপাইগুড়ি ( Jalpaiguri Station Road) রোড স্টেশনে এসে প্রায় ২০-২৫মিনিট দাঁড়িয়ে পড়ে পদাতিক এক্সপ্রেস (Padatik Express)।
আরও পড়ুন, 'যাঁরা শহিদ হয়েছিলেন, তাঁদের খোঁজ নেন না নেতারা', বিস্ফোরক তৃণমূলের কাজল শেখ
ঠিক কী হয়েছিল, রেলকর্মীরা কীভাবে সামাল দিল ?
রেল সুত্রে খবর, সকালে রানীনগর স্টেশন পার করার পরেই ১৬ এবং ১৭ গেট ম্যান লক্ষ্য করেন, এস ওয়ান (S-1)কোচের চাকা থেকে ব্যাপক ধোঁয়া বেড়চ্ছে, সঙ্গে সঙ্গে রোড় স্টেশনের স্টেশন মাষ্টার ও ট্রেনের চালককে খবর দেওয়া হয় । চালক ট্রেনটিকে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। এরপরে রেলের ইঞ্জিনিয়ারা ছুটে আসেন। রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এস ওয়ান (S-1)কোচের চাকার ব্রেক জ্যাম হয়ে যাওয়ায় ধোঁয়া বের হচ্ছিল। সেটাকে মেরামত করে প্রায় ২৫ মিনিট পরে ট্রেনটিকে নিউ আলিপুরদুয়ারের উদ্যেশ্যে রওনা দেয়।শিয়ালদহ-নিউআলিপুরদুয়ারগামী পদাতিক এক্সপ্রেস ছাড়ার আগে কী কোনও চেকিংয়ে গাফিলতি ছিল, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে। চাকার ব্রেক জ্যামের গোলযোগ নিয়েই কি ওইভাবেই রেকগুলি চালানো হচ্ছিল, এই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ একে তো এক্সপ্রেস ট্রেন, লম্বা যাত্রায় বেশিরভাগ সময় যাত্রী ভর্তি থাকে। তারপর আচমকাই এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায়, সুরক্ষা নিয়ে রীতিমত প্রশ্ন উঠেছে। উল্লেখ্য, বর্ধমানে লোকাল ট্রেন উলটে যাওয়ার পর এই নিয়ে পর পর বাংলার বুকে অঘটন ঘটল।
প্রসঙ্গত ২৭ জুন বর্ধমান স্টেশনে ঢোকার মুখে লোকাল ট্রেনের বগি উলটে যায়। জানা গিয়েছে, ওই দিন সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে কারশেড থেকে বর্ধমান স্টেশনের (Burdwan Station) দিকে যাচ্ছিল লোকালটি। আর তখনই বিপত্তি ঘটে। আচমকাই বর্ধমান স্টেশনে ঢোকার মুখে লাইনচ্যুত লোকাল। স্টেশনে (Burdwan Station) ঢোকার আগে পিছনের দিক থেকে ৩ নম্বর কামরাটি লাইনচ্যুত হয়ে হেলে পড়ে। প্রায় ৭৫ ডিগ্রি কোণে উল্টে যায় কামরাটি। তবে যেহেতু কারশেড থেকে লোকাল ট্রেনটি এসেছিল, তাই যাত্রী ছিল না বলেই বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। যদিও এদিন ট্রেনটি কারশেডের বদলে যদি অন্য কোনও স্টেশন হয়ে আসত, তাহলে অবশ্য বড়সড় দুর্ঘটনার মুখোমুখি হত রাজ্য।