রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: 'চোর ধরো জেল ভরো', এই দাবিতে আগামি ৯ তারিখ বিজেপির মহা মিছিলের ডাক বঙ্গে। মহামিছিলে উপস্থিত থাকবেন শুভেন্দু অধিকারি (Suvendu Adhikari) । কিন্তু তার আগেই 'রাতের অন্ধকারে বিজেপির 'চোর ধরো জেল ভরো'-র ব্যানার ফেস্টুন ভয়ে খুলে ফেলছে তৃনমূল', সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনই অভিযোগ বিজেপির।
এদের জেলে পাঠানো হবে, এবার দুর্গাপূজা শ্রীঘরে দেখবে
বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীর অভিযোগ, 'চোর ধরো, জেল ভরো-র দাবিতে জলপাইগুড়িতে মহামিছিল হবে। তার আগে তৃণমূলের কাপুরুষেরা রাতের অন্ধকারে ব্যানার ফেস্টন খুলে দিচ্ছে, বুকের পাটা থাকলে দিনের বেলায় খুলে দেখান। মহামিছিলের ভয়ে চোরের দলেরা তোলামুল পার্টি পাগল হয়ে গিয়েছে, এরপর কোমরে দড়ি পড়িয়ে এদের জেলে পাঠানো হবে। এবার দুর্গাপূজা শ্রীঘরে দেখবে।
শুভেন্দু অধিকারি পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বড় চোর: তৃনমূলের টাউন ব্লক সভাপতি
পালটা বিজেপিকে কটাক্ষ করে তৃনমূলের টাউন ব্লক সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শুভেন্দু অধিকারি পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বড় চোর। এটা প্রমানিত। তাই পিঠ বাঁচাতে বিজেপতে যোগ দিয়েছে। সেখানে এসে বার্তা দেবে,' চোর ধরো জেল ভরো ' আন্দোলনের ডাক ? নিজেকে বাঁচাতে এই সব কাজ করতে হচ্ছে, জলপাইগুড়ির মানুষ এইসব নেবে না, সেটা আগের নির্বাচন গুলোয় প্রমাণিত হয়েছে। আর তৃণমূলের এত দুর্দিন আসেনি যে বিজেপির ফ্লেক্স ফেস্টুন খুলে দেবে। এত খারাপ সময় তৃণমূলের আসেনি, তৃণমূলও এই নিয়ে রাস্তায় নামবে।
আরও পড়ুন, 'আমরা কারও চাকরি খাইনি', শিক্ষকদিবসে ক্ষোভ উগরে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মূলত রাজ্যে এযাবৎকালে একাধিক মামলার মধ্যে শিরোনামে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা। আর এই মামলার নাম ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই যাদের নামটা পর পর উঠে আসে, তারা হলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পরেশ অধিকারী, অঙ্কিতা অধিকারী, ববিতা সরকার এবং বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তচলাকালীনই গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। একাধিকবার তলব করা হয়েছে পরেশ অধিকারিকে। ববিতা সরকার শেষ অবধি পেয়েছেন বিচার। রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারে 'সাহসী' পদক্ষেপ নিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।তবে বাইশের বাইশগজে সামনে অপেক্ষা করছে কী ? গুঞ্জন রাজ্য-রাজনীতিতে।