রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: 'আপনারা আমাকে এনে ভুল করেছেন, আমি সমস্ত তথ্য জানি, আপনাদের ওয়াটার রিসোর্স ডিপার্টমেন্টের যে সার্ভে ওয়ান কোথায় সার্ভে ? আপনাদের কাছে তথ্য নেই, আপনাদের প্রত্যেক ব্লকে পঞ্চায়েত ভিত্তিক দায়িত্ব প্রাপ্ত লোক রয়েছে, এলাকা ভিত্তিক সার্ভের ওপর জোর দিন কোথায় কোথায় সোর্স অফ ওয়াটার আছে এগুলো সনাক্ত করুন ।এখানে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো আছে, আমাদের নেত্রী যেটা চান যাকে যে জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেই দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করুন।' এমনই ভাবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের উদ্যোগে এই প্রথম জলসম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন দপ্তরের জেলা সম্মেলনে যোগ দিয়ে কর্মচারীদের সরকারি কাজের সমালোচনায় মুখর হলেন  শাসকদলের লিগাল সেলের জেলা সভাপতি গৌতম দাস। 


খালি আমরা এলাম, মুখ দেখালাম, সংগঠন করলাম: গৌতম দাস


প্রকাশ্যে মাইকে গৌতম দাস বলেন, 'আমাদের নেত্রী যেটা চান যাকে যে জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেই দায়িত্বটা যথাযথভাবে পালন করলেই দলের জন্য সমস্ত কিছু করা হবে। শুধু মাত্র আমি দৌড়ে গেলাম রাজনীতি করলাম কিন্তু নিজের কাজটুকু করলাম না। এটা প্রথমেই বর্জন করা উচিৎ এটা আমার সাজেশন। তিন পার্সেন্ট জল মানুষের স্বার্থে ব্যবহার করার জন্যই এই দপ্তর।  এখানকার পরিকাঠামোয় কি কাজ হয় আমি জানি,  দুর্ভাগ্যজনক। এটা জেলা নেত্রীর সামনেই বলছি, আপনারা যদি দলকে ভালোবাসেন যদি সংগঠন করতে আসেন পরিকাঠামো যেটা আছে সাফিশিয়েন্ট। আমি ইঞ্জিনিয়ারকে বলবো আপনাদের প্রথম কাজ সার্ভে করা ম্যাপ করা আমার মনে হয় যে তিন বছরে রিভিউ সার্ভেও হয়নি, লাস্ট সার্ভে হয়েছে ২০১৮ সালে, খালি আমরা এলাম, মুখ দেখালাম, সংগঠন করলাম যখন যে সংগঠনের দায়িত্বে আসলো সরকারি কর্মচারী তার পেছনে দৌড়লাম, আমার জায়গাটা নিশ্চিত রাখলাম, এটা কিন্তু জলসম্পদ উন্নয়ন দপ্তর, আপনারা আমাকে এনে ভুল করেছেন আমি সমস্ত তথ্য জানি, মাথায় রাখবেন এই জল যেটা মানব কল্যানে ব্যাবহার করবো সেটা জলপাইগুড়ি জেলাতেও কর্মসূচি নিতে হবে, চার বারের বিধায়ক আছেন জলসম্পদ দপ্তর থেকে ওনার কাছে কোনো রিক্যুইজিশন গিয়েছে ?
যে এটা আমরা মানব স্বার্থে ব্যাবহার করতে চাই ? এই প্রস্তাবটা দিতে চাই। উনিতো খরচ করতে রাজি আছে, আপনারা কোনো প্রস্তাবও দিতে পারেননি। আপনাদের ওয়াটার  রিসোর্স ডিপার্টমেন্টের সার্ভে কোথায় ? সার্ভের ওপর জোর দিন এলাকা ভিত্তিক সোর্স অফ ওয়াটার আছে এগুলো সনাক্ত করুন, মানুষের ব্যবহারের জলের রিসোর্স কোথায় আছে একটা গ্রাম পঞ্চায়েত বলতে পারবেন ? আপনাদের কাছে তথ্য নেই, আপনাদের প্রত্যেক ব্লকে পঞ্চায়েত ভিত্তিক দায়িত্ব প্রাপ্ত লোক আছে। এটা সংগঠনের মিটিং বাইরের মিটিং-এ এটা বলতাম না।'


 দেখুন এটা প্রথম সম্মেলন হচ্ছে জলসম্পদ উন্নয়ন অনুসন্ধান এবং উন্নয়ন দপ্তরের প্রথম সম্মেলনঃ তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান


 তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান তথা রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, 'দেখুন এটা প্রথম সম্মেলন হচ্ছে জলসম্পদ উন্নয়ন অনুসন্ধান এবং উন্নয়ন দপ্তরের প্রথম সম্মেলন, গৌতম দাস আমাদের আইনজীবী সেলের সভাপতি নিশ্চয়ই কারোর মাধ্যমে শুনেছে, সে বলেছে কথাটা, নিশ্চিত ভাবে আমি চার বারের বিধায়ক এবং তৃতীয় বারের নব নিযুক্ত চেয়ারম্যান, শুধু মিটিং মিছিল করার জন্য নয়, যে কথাটা বলেছেন নিশ্চই আমি অনুসন্ধান করবো বিধায়ক ও চেয়ারম্যান হিসেবে, 
কয়েকদিন আগে এত খরা হয়েছিলো জল পাচ্ছিলো না মানুষ চাষাবাদ করতে পারছিল না, করোতয়ায় এসডিও কে সাথে সাথে ফোন করা হলো কি সামান্য একটি বাঁধ ভেঙ্গে ছিল সেটা কি দশ দিন লাগে? সাথে সাথে ধাওয়া দিলাম একদিনের মধ্যে হয়ে গেলো, নিশ্চয়ই যে ব্যাপার গুলো বললো আমি অনুসন্ধান করে যথাযথ ব্যবস্থা আমরা করবো যাতে কোনো কর্মচারী অবহেলা না করে কৃষক দের স্বার্থে, মমতা ব্যানার্জি উন্নয়ন চায়, প্রত্যেক সংগঠন কর্মচারী মানুষের পরিষেবা দেয় সেটা আমি চেষ্টা করবো, পরবর্তীতে কোনো খামতি না হয় মানুষের সেবায় মানুষ যেন বঞ্চিত না হয়।'


'যেই কথাটা বলেছেন সেই ব্যাপারটায় আমি ওয়াকিবহাল নই', কী নিয়ে বললেন রাজীব মন্ডল ?


 রাজীব মন্ডল নব নির্বাচিত সভাপতি  পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন তিনি বলেন, 'যেই কথাটা বলেছেন সেই ব্যাপারটায় আমি ওয়াকিবহাল নই, এটা সাহেবরা বলতে পারবেন, আমাদের ডিপার্টমেন্টে সত্যিই অপারেটর খুবই কম, অনেকেই রিটায়ার্ড করে গিয়েছে, সবাই ব্লকে কাজ করে, প্রচুর কাজ ব্লকে, সবাই নিযুক্ত হয়ে থাকে সব প্রকল্প নিয়ে ব্যস্ত থাকে। যেটা অভিযোগ করেছে সেটা সাহেবরাই বলতে পারবে, জলপাইগুড়ি জেলায় অপারেশনাল স্টাফ এই মুহুর্তে ৪৬ জন আছি, অফিস স্টাফ ও কম ২০ থেকে ২৫ জন আছে, এখন আমার ওপরে যারা আছেন জেই নের্তৃত্বরা আছেন তাদের সাথে বসে নিয়ে কথা বলবো কীভাবে আমরা এগোবো পথ ওনারাই দেখিয়ে দেবে সেই ভাবেই এগোবো।'