পাহাড়পুর,জলপাইগুড়ি: রাজ্য জুড়ে আবাস যোজনার দুর্নীতি (PMAY Scam) ঘিরে একেবারে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আর এবার জলপাইগুড়ি তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপের মন্তব্য ভাইরাল (Jalpaiguri TMC)। তিনি স্পষ্ট বলেন, ' বিজেপির ঘর পাইয়ে দেবার ক্ষমতা নেই। আবাস যোজনার ঘর পেতে হলে তৃণমূল করতে হবে'। তিনি সাফ বলেন, সকল সরকারি সুবিধার পাশাপাশি যদি ঘরটাও পেতে হয়, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস করতে হবে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে। 


প্রসঙ্গত, আবাস যোজনায় বরাদ্দ বাড়ি ঘিরে বিতর্কে জড়িয়েছে শাসকদল। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাড়ি দখল করে পার্টি অফিস চালানোর অভিযোগ উঠেছে। আবাস যোজনায় তৈরি উপভোক্তার বাড়ি, নাকি তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়, ৩ বছর পরেও উত্তর  অধরা। ঘটনা ঘিরে তুঙ্গে উঠেছে তৃণমূল-বিজেপি তরজা। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জামালপুরের বিডিও। উপভোক্তার নামে বরাদ্দ হয়েছিল সরকারি প্রকল্পে বাড়ি। অভিযোগ, সেই ঘর উপভোক্তাকে না দিয়ে পার্টি অফিস হিসেবে ব্যবহার করছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর বছর দেড়েক আগে সেই বাড়ি ফিরিয়েও দেওয়া হয়েছিল উপভোক্তাকে। কিছুদিন সেই ঘরে ঠাঁই হলেও, অভিযোগ, সেখানে এখন ফের রমরমিয়ে চলছে তৃণমূল কার্যালয়।


প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে এমনই অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে। বছরখানেক আগে মৃত্যু হয়েছে উপভোক্তা শঙ্কর মাঝির। অভিযোগ, তারপর থেকেই আবাস যোজনায় প্রাপ্ত ঘরের বদলে উপভোক্তার পরিবার বাস করছেন দামোদরের বাঁধের পাশে অ্যাসবেস্টসের ছাউনি দেওয়া একচিলতে ঘরে। অভিযোগকারী পরিবারের সদস্যের  পরিতোষ মালিকের কথায়, শঙ্কর মাঝির নামে সরকারি ঘর এলে সেই ঘর এখন তৃণমূলের পার্টি অফিস করা হয়েছে।বদলে বাঁধের ধারে একটি বাড়ি করে দেওয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন, 'ঘর বিক্রি করল শাসকদল, বাড়ি পেল উপপ্রধানের মা', আবাস দুর্নীতি ঘিরে পড়ল পোস্টার


২০১৮-১৯ সালে বাড়ি তৈরির প্রকল্পে এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা অনুদান পান জামালপুরের কাঠুরিয়া গ্রামের শঙ্কর মাঝি। ওই টাকায় বাড়ি তৈরির পরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সেটি দখল করে দলীয় কার্যালয় বানানোর অভিযোগ ওঠে। কিন্তু আবাস প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ি কীভাবে পরিণত হতে পারে শাসকদলের কার্যালয়ে? অভিযোগ সামনে আসার পরেই পরস্পর বিরোধী মন্তব্য শোনা গেল তৃণমূলের অন্দরে।