পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: স্বামী হাইস্কুলের শিক্ষক। শাসকদলের পদে আসীন নিজে (Bankura News)। পঞ্চায়েত সমিতির নারী ও শিশু কল্যাণ কর্মাধ্যক্ষও। তার পরও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আবাস যোজনায় বাড়ি হাতানোর চেষ্টার অভিযোগে বিদ্ধ বাঁকুড়ায় মহিলা সংগঠনের ব্লক সভাপতি। বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও (Awas Yojana)। 


প্রভাব খাটিয়ে আবাস যোজনায় বাড়ি হাতানোর চেষ্টার অভিযোগ


আবাস যোজনায় যোগ্য প্রাপকের তালিকা বাছাই করতে গিয়ে স্বজনপোষণ এবং দুর্নীতির ভূরি ভূরি অভিযোগ সামনে এসেছে। তাকে ঘিরে এই মুহূর্তে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। সেই আবহে স্বজনপোষণের আরও এক অভিযোগ সামনে এল বাঁকুড়া থেকে। অভিযুক্ত সেখানকার ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির নারী ও শিশু কল্যাণ কর্মাধ্যক্ষ রঞ্জু সোরেন। স্বামী হাইস্কুলের শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও, প্রভাব খাটিয়ে শাশুড়ির নামে তিনি বাড়ি পাওয়ার ব্যবস্থা করে ফেলেছেন বলে অভিযোগ। 


জানা যাচ্ছে, রঞ্জুর পরিবারের সদস্যদের নাম শুধু আবাস যোজনার তালিকাতেই নেই, দফায় দফায় সমীক্ষার পরও চূড়ান্ত তালিকায় নাম থেকে গিয়েছে বলে অভিযোগ। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই রঞ্জু বাঁকুড়া ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ এবং একই সঙ্গে তৃণমূলের মহিলা সংগঠনের ব্লক সভাপতি হওয়াতেই এমনটা সম্ভব হয়েছে বলে উঠছে অভিযোগ। 


আরও পড়ুন: Birbhum News: পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়ি বসে আবাস যোজনার সমীক্ষা কেন? আশাকর্মীকে আটকে বিক্ষোভ নদিয়ায়


রঞ্জুর বিরুদ্ধে অভিযোগ হল, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে শুধুমাত্র শাশুড়ি নিয়তি সোরেনের নাম আবাস যোজনার তালিকায় রাখেননি তিনি। দফায় দফায় সমীক্ষার পরও শাশুড়ির নামও জ্বলজ্বল করছে চূড়ান্ত তালিকায়। তাতেই রঞ্জুর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধী শিবিরের নেতারা। 


বিরোধীদের দাবি, যোগ্য দাবিদারদের নাম বাদ পড়েছে তালিকা থেকে। সেই জায়গায় প্রভাব খাটিয়ে শাশুড়িকে আবাস যোজনার বাড়ি পাওয়ার ব্যবস্থা পাকা করে ফেলেছেন রঞ্জু। অভিযুক্ত যদিও অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, আবাস যোজনার তালিকায় শাশুড়ির নাম থেকে গেলেও, বাড়ি নেওয়ার প্রয়োজনীয় নথিপত্র তিনি বিডিও অফিসে জমা দেননি। 


শাশুড়ির বাড়ি পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও  রকম প্রভাবও খাটাননি বলে জানান রঞ্জু


এমনকি শাশুড়ির বাড়ি পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও  রকম প্রভাবও খাটাননি বলে জানান রঞ্জু। তাঁর শাশুড়ি নিয়তি যদিও নিজেতে আবাস যোজনায় বাড়ি পাওয়ার যোগ্য বলেই দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, ছেলে চাকরি করলেও, তিনি ছেলের সঙ্গে থাকেন না। তাঁর নিজস্ব পাকা বাড়িও নেই। কিন্তু তাতেও থামছে না বিতর্ক।