রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: করোনা (Corona) সংক্রমণ বাড়ায় বন্ধ ডুয়ার্সের (Dooars) পর্যটন কেন্দ্রগুলি (Tourists Spot)। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মূর্তি পর্যটন কেন্দ্রে উধাও চেনা ছবি। ভিড় নেই। ফাঁকা পর্যটনকেন্দ্রে ঘোরাঘুরি করার সময় কেউ কেউ মাস্ক ছাড়াই দল বেঁধে সেলফি তুলতে ব্যস্ত। তবে গরুমারা জাতীয় উদ্যানের (Garumara National Park) ছবিটা আলাদা। জঙ্গল সাফারি (Forest Safari) বন্ধ। মাস্ক পরেই জঙ্গলের বাইরে ঘুরছেন পর্যটকরা। করোনা আবহে বিধি আরোপের বিষয়টিকে স্বাগত জানালেও, শীতের মরসুমে পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় মন খারাপ পর্যটকদের। ব্যবসায় ফের মন্দার আশঙ্কায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা।  


বর্ষশেষে মানুষের আনাগোনা বেড়েছিল পাহাড় সহ রাজ্যের অন্যান্য পর্যটন স্থলগুলিতে। কিন্তু গত কয়েক দিনে পরিস্থিতি বদলেছে। রাজ্যে (West Bengal) করোনার দৈনিক সংক্রমণ (Corona Case) লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এখনও সতর্ক না হলে, পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন চিকিৎসকরা। বিধিনিষেধ জারি করেছে রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সব পর্যটন কেন্দ্র (Tourist Spot)। এই পরিস্থিতিতে পাহাড় থেকে পর্যটকরা নামতে শুরু করেছেন। 


কিন্তি সমস্যায় পড়েছেন পর্যটন শিল্পের ওপর নির্ভরশীল মানুষগুলো। তবে শুধু উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি এমন তা নয়। পর্যটক শূন্য শান্তিনিকেতন । ধুধু করছে কোপাই তীর থেকে শুরু করে সোনাঝুরির হাট। বীরভূমেরই অন্যতম পর্যটন স্থল লাভপুরের ফুল্লরা। ৫১ সতীপীঠের অন্যতম এটি। বিধিনিষেধের কারণে ভক্ত সমাগম অনেকটাই কমেছে। ফলে সেখানেও সমস্যায় পড়েছেন মন্দিরে চত্বরে থাকা বাউল শিল্পীরা। বিধিনিষেধ জারির পর থেকেই কার্যত শুনশান বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর। কয়েকদিন আগেও নৌকা বিহারের জন্য ভিড় জমাত মানুষ।  এখন সেখানে ফেরিঘাটে দাঁড়িয়ে সারি সারি নৌকা। রোজগার হারিয়ে হতাশা গ্রাস করেছে নৌকাচালকদের। মুখ থুবড়ে পড়েছে হোটেল ব্যবসাও।


আরও পড়ুন: Kalighat Temple:করোনার দাপট বাড়ায় কালীঘাট মন্দিরে গর্ভগৃহে ভক্তদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা