রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: ফোর লেনের জমি অধিগ্রহণকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়ি (Dhupguri) কলেজপাড়া এলাকায়। পুলিশের (Cops) সঙ্গে ধস্তাধস্তি জমির মালিকদের। পুলিশের গাড়ির সামনে রাস্তার উপর শুয়ে পড়েন মহিলারা। জমি মাপতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা জমির মালিকদের। আটক করা হল আন্দোলনকারী জমির মালিক ১০ জনকে।


ধুপগুড়িতে প্রবল উত্তেজনা


আজ সকালে ফোর লেনের জমি মাপজোক করতে আসে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ আর তাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় ধূপগুড়ি পুর এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজপাড়া এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কোনওরকম অগ্রিম নোটিশ ছাড়াই এদিন হঠাৎ জমি মাপতে চলে আসে ব্লক প্রশাসন ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের লোকজন। এর জেরে ক্ষুব্ধ হন স্থানীয় মানুষ। জমি মাপতে বাধা দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তার উপর শুয়ে পড়েন তাঁরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী ও র‍্যাফ মোতায়েন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১০ জনকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ধূপগুড়ি থানায়। 


জমির জরিপের বিষয়ে জানানো হয়নি, দাবি স্থানীয়দের


শিলিগুড়ির বোসপুকুর থেকে আলিপুরদুয়ারের সলসলাবাড়ি পর্যন্ত ফোর লেনের রাস্তা তৈরির কাজ প্রায় শেষের মুখে। তবে, জমিজটে ধূপগুড়ি পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের অংশের এখনও কাজ শুরু হয়নি। আজ জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সেই অংশের জমি জরিপ করতে আসে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করেই জমি মাপজোকের কাজ শুরু হয়েছে। এমনকী তাঁদের উপযুক্ত আর্থিক সাহায্য ও পুনর্বাসন নিয়ে আলোচনাও করা হয়নি। প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে কাজে বাধা দেন তাঁরা। বচসা, বিক্ষোভে তুলকালাম কাণ্ড বেঁধে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের সুরেই স্থানীয় বিজেপি কাউন্সিলর জয়ন্তী রায়ের দাবি, জমির জরিপের বিষয়ে তাঁকেও জানানো হয়নি। 


আরও পড়ুন অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ, আতঙ্কে ধূপগুড়ির বাসিন্দারা


পাল্টা জলপাইগুড়ি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীর দাবি, ‘ধূপগুড়ির বিষয়টি নিয়ে আমরাও চাইছি যাতে জমি জট কাটুক। মানুষের কাছে কারা ভুল তথ্য দিল, আমরা খতিয়ে দেখছি। রাজ্য সরকার জোর করে জমি নিতে চায় না। উস্কানিতে করা হয়েছে। ভুল বোঝাবুঝি।’


বহিরাগতরা বাধা দেয়, দাবি পুলিশ সুপারের


জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানিয়েছেন, ‘একাধিকবার বৈঠক হয়েছে জমিজট নিয়ে বিডিও ও পুরসভায়। ওই এলাকায় বেশিরভাগ মানুষ জমি দিতে হয়েছে। বহিরাগতরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে আলোচনার মাধ্যমে সার্ভে হয়। যারা বাধা দেয়, তাদের জমি নেই।’