রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: অজানা জন্তুর পায়ের ছাপকে কেন্দ্র করে ধূপগুড়ির (Dhupguri) বারঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ ডাঙ্গাপাড়া গ্রাম এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য় তৈরি হল। বাঘ নাকি অন্য কোনও জন্তুর পায়ের ছাপ, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে, গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকতে বলার পাশাপাশি তাঁদের পটকা দিয়ে হয়েছে বন দফতরের পক্ষ থেকে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে গ্রামবাসীরা ডোরাকাটা কোনও একটি প্রাণীকে দেখতে পান। এরপরই গ্রামে বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে দ্রুত খবর দেওয়া হয় ধূপগুড়ি থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ধূপগুড়ি থানার পুলিশকর্মীরা। এরপরই খবর যায় বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের বনকর্মীদের কাছে। খবর পেয়ে তাঁরা গুপুরে ঘটনাস্থলে যান। সঙ্গে গোটা এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শক করাকালীনই তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় অজানা কোনও জন্তুর পায়ের ছাপ দেখতে পান। প্রাথমিকভাবে বন দফতরের কর্মীদের দাবি, পায়ের ছাপগুলি কোনও চিতা বাঘের নয়। অন্য কোনও জন্তুর পায়ের ছাপ পড়ে পারে বলে মত তাঁদের। কিন্তু সেগুলি কোন জন্তুর পায়ের ছাপ, সে সম্পর্কে এখনও কিছু পরিষ্কার নয়। তারপরও গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে এসেছেন বন দফতরের কর্মীরা। সঙ্গে তাঁদের কিছু পটকাও দিয়ে আসা হয়েছে বন্যপ্রাণীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য।
আরও পড়ুন - Jalpaiguri News: বাড়িতে চিতাবাঘের হানা, আতঙ্ক জলপাইগুড়ির মালবাজারে
জানা গিয়েছে, গ্রামবাসীরা কোনও ডোরাকাটা জন্তুকে এক ঝলক দেখতে পেলেও এখনও পর্যন্ত কারও উপর আক্রমণের খবর খবর পাওয়া যায়নি। না কোনও মানুষের উপর, না কোনও গবাদি পশুর উপর হামলা করেছে ওই প্রাণী। কিন্তু তারপরও বাঘের আতঙ্কে ঘর ছেড়ে বেরতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই জলপাইগুড়ির মালবাজার এলাকায় এক মহিলার বাড়িতে হানা দেয় একটি চিতাবাঘ। খবর পেয়ে বন দফতরের কর্মীরা গিয়ে চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করে। পরে সেটিকে গরুমারা অভয়ারণ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়।