রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: আগামীকাল জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) পুজো কার্নিভাল (Durga Puja carnival) বাতিল করা হল। মালবাজারে বিসর্জনে বিপর্যয়ের জেরে কাল বাতিল করা হল জলপাইগুড়ির পুজো কার্নিভাল। জলপাইগুড়ির পুজো কার্নিভাল বাতিলের কথা ঘোষণা করা হয় জেলা প্রশাসনের তরফে। জেলার সাধারণ মানুষের অনুভূতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন জেলাশাসক।


বাতিল জলপাইগুড়ির পুজো কার্নিভাল


জলপাইগুড়ির অন্যতম বড় দুর্গাপুজো, কদমতলা দুর্গাদুর্গাপুজো" href="https://bengali.abplive.com/topic/suvendu-adhikari" data-type="interlinkingkeywords">পুজো কমিটি, তারা প্রথম লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন যে তাঁরা এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর কোনওরকম কার্নিভালে অংশ নেবেন না। আজ তাঁদের একাধিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল, সেগুলোও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এবং আগামীকাল জলপাইগুড়ি মিউনিসিপ্যালিটি এলাকায় যে কার্নিভাল হওয়ার কথা ছিল তা বাতিল করা হয়েছে বলে খবর জেলাশাসকের তরফে। এই দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে জেলাশাসক একটি বৈঠক করেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে আগামীকাল কার্নিভাল হবে না। ভবিষ্যতে কোনও তারিখে এই কার্নিভাল হবে কি না তা পরে জানানো হবে। এই মুহূর্তে মালবাজার শহরে ৮ জনের মৃতদেহ এসে পৌঁছেছে। এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। 


অন্যদিকে গতকাল মাল নদীতে বিপর্যয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন সিভিল ডিভেন্সের মাত্র ৮ জন সদস্য। জানালেন তাঁদেরই একজন। যদিও পুলিশ সুপারের দাবি, পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল। এদিকে এই মর্মান্তিক ঘটনার জেরে কালকের কার্নিভাল বাতিল করল জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। মৃতদের পরিবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা, জবাব দিয়েছে তৃণমূল।


আরও পড়ুন: Flash Flood Deaths: হড়পা বানে জলের স্রোতে বাঁচাই কঠিন, বলছেন নদী বিশেষজ্ঞরা, পুলিশ-প্রশাসনকেই কাঠগড়ায় তুলছে বিরোধীরা


প্রসঙ্গত, কাল মালবাজারে যাচ্ছে বিজেপির ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চায় বিজেপির প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে ৭ বিজেপি বিধায়ক ও একজন সাংসদ। প্রতিনিধি দলের সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য ডিজিপিকে চিঠি বঙ্গ বিজেপির। 


স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, মৃতদের মধ্যে ১০ বছরের এক বালিকা রয়েছে। গতকাল মাঝরাত পর্যন্ত চলে উদ্ধারকাজ। তারপর প্রবল বৃষ্টির জেরে উদ্ধারকাজ সাময়িক বন্ধ হয়। আজ সকালে নদীর বিভিন্ন অংশে চালানো হবে তল্লাশি। পুলিশ সূত্রে খবর, ৭০টি প্রতিমা বিসর্জনের জন্য আনা হয়েছিল। তার মধ্যে ২৫ থেকে ৩০টি প্রতিমা বিসর্জনের পরই বিপর্যয় ঘটে। জলপাইগুড়ির মাল নদীতে গতকাল প্রতিমা বিসর্জনের সময় ৮ জন সিভিল ডিফেন্সের কর্মী ছিলেন ঘটনাস্থলে। সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মী জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে দড়ি ছাড়া কিছু ছিল না। বিপর্যয় যখন ঘটে, তখন যদি সিভিল ডিফেন্সের আরও কর্মী থাকতেন, তাহলে দ্রুত উদ্ধারকাজ করা যেত বলে তাঁর দাবি।