কলকাতা: সুস্থ থাকার জন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সারাদিনে অন্তত ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম (Sleep) অত্যন্ত জরুরি। খুব কম করেও ৭ ঘণ্টা ঘুম না হলে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে শরীর। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে তার মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে স্বাস্থ্যে। দেখা দিতে পারে নানা অসুখ। এমনকি কম ঘুমের অভ্যাস প্রাণঘাতীও হতে পারে। কিন্তু জাননে কি শুধু কম ঘুমই নয়, অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকার অভ্যাস বা দেরি করে ঘুমের অভ্যাস কতটা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে শরীরে? এর ফলে কোন রোগের শিকার হতে পারেন আপনি?


দেরি করে ঘুমের মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব-


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আঠেরো বছর থেকে পঁয়ষট্টি বছর বয়সের ব্যক্তিদের মধ্যে একটা বড় সংখ্যক মানুষের মধ্যেই ঘুম সংক্রান্ত নানা সমস্যা দেখা দেয়। যাঁদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হয় না যাঁরা ৬ ঘণ্টার কম সময় ঘুমোন, তাঁদের মধ্যে ২০ শতাংশ বাড়ে হৃদরোগের (Heart Disease) আশঙ্কা। শুধু তাই নয়, তাঁদের মধ্যে ৮২ শতাংশ বাড়ে হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack) এবং স্ট্রোকের (Stroke) ঝুঁকি। অপর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের সঙ্গে সঙ্গে সঠিক গুণমানের ঘুম না হওয়াও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। 


আরও পড়ুন - Blood Sugar: স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় এই খাবারগুলি


গবেষকরা জানাচ্ছেন, যাঁরা দেরি করে ঘুমোন, অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকার অভ্যাস থাকে, তাঁদের মধ্যে বাড়ে হৃদরোগের ঝুঁকি। সম্প্রতি একটি সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে অংশগ্রহণ করেছিলেন বহু মানুষ। তাঁদের মধ্যে একটা সংখ্যক মানুষ রাতে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েছে। আবার একটা সংখ্যক অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকার পর ঘুমিয়েছে। সমীক্ষা শেষে দেখা গিয়েছে, যাঁরা অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকার পর ঘুমিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ব্যাপক হারে বেড়েছে হৃদরোগের আশঙ্কা। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, মধুমেহ এবং আরও নানা প্রকার অসুখ বেড়েছে তাঁদের মধ্যে। এছাড়াও তার সঙ্গে কমেছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। হার্ট ব্লকসের মতো সমস্যাও দেখা দিয়েছে তাঁদের মধ্যে।


বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং যেকোনও একাগ্রতা বৃদ্ধিতে ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে প্রাণায়ামের কোনও বিকল্প নেই। মন শান্ত রাখতে সাহায্য করে। চিন্তা, স্ট্রেস, উদ্বেগ, অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি ঘুমের সমস্যাও দূর করে। প্রতিদিন নিয়ম করে প্রাণায়ম অভ্যাস করলে অনেক অসুস্থতা দূর হয়। ঘুমের সমস্যাও কাটে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।