রাজা চট্টোপাধ্যায়, রাজগঞ্জ (জলপাইগুড়ি) : জেলা পরিষদের রাস্তাঘাট ২-৩ বছরে ভেঙে যায়। এনিয়ে তাদের একটা বদনাম আছে। তৃণমূল পরিচালিত (TMC-Led) জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা পরিদের নামে এমনই মন্তব্য করেছেন রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক (Rajgang TMC MLA)। আর প্রকাশ্য সভায় এই মন্তব্যকে কার্যত মেনে নিয়েছেন সভাধিপতি। ভোটের আগে এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি (BJP)।


জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বেলাকোবা ঘোষপাড়া থেকে, বেলাকোবা প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তার ভয়ানক অবস্থা। ২-৩ বছর অন্তরই সারানো হয় রাস্তা। কিন্তু কিছুদিন পরই যা কে সেই। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) আগে, সেই রাস্তা সারানোর কাজ (Work of Road Repair) শুরু করেছে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ। রবিবার বিকেলে এর সূচনা করেন রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক। তবে, রাস্তা খারাপের জন্য সরাসরি, মেরামতকারী সংস্থা ও জেলা পরিষদকেই দায়ী করেছেন, খগেশ্বর রায়।


যা বললেন তৃণমূল বিধায়ক-


রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক বলেছেন, এজেন্সি ভাই, হাসলে হবে না। রাস্তাটা ভাল করে করতে হবে। বিশেষ করে জেলা পরিষদের একটা বদনাম আছে। জেলা পরিষদের রাস্তাঘাট ২-৩ বছরে ভেঙে যায়। আমি সামনাসামনি বলি। 


আর সেই মঞ্চ থেকেই রাস্তা খারাপের কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতিও। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও তৃণমূলনেত্রী উত্তরা বর্মন বলেন, সামনে আমার পঞ্চায়েতের ভোট। ভোটের আগে যাতে কাজটা সম্পূর্ণ হয়। সব জায়গায় মান খারাপ হয়নি, কিছু কিছু জায়গায় মান খারাপ হয়েছে।


তৃণমূল বিধায়ক ও জেলা পরিষদের সভাধিপতির এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই এবার ভোটের ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। জলপাইগুড়ি বিজেপির সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, খগেশ্বরবাবু সত্যিটা মাইকে বলে ফেলেছেন। তৃণমূল কাটমানি খাবে, তোলা তুলবে। এরাই তো লুঠেপুটে খাচ্ছে। উপরের লোক শুধু খাবে, তলার লোক খাবে না ?


যদিও জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি ও তৃণমূল নেতা দুলাল দেবনাথ বলেন, খগেশ্বর ঠিক বলেছেন। বাম আমলে অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ হত। ৪টি এজেন্সিকে ব্ল্যাক লিস্টেড করা হয়। বিজেপি কিছু ঘটনায় মদত দিচ্ছে। আমরা কোনও খারাপ সামগ্রী ব্যবহার করি না।


আরও পড়ুন ; কয়েক লক্ষ টাকার সোনা উদ্ধার ঘিরে চা়্ঞ্চল্য় জলপাইগুড়িতে, গ্রেফতার ২