সনৎ ঝা, মলয় চক্রবর্তী এবং রাজা চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা: জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) রামকৃষ্ণ মিশনে (Ramakrishna Mission) হামলার ১৩ দিনের মাথায় গ্রেফতার করা হল মূল অভিযুক্তকে। অবশেষে পুলিশের (Police) জালে মূল অভিযুক্ত জমি মাফিয়া প্রদীপ রায়। এই নিয়ে গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭।  তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। 


১৯ মে থেকে ১ জুন- প্রায় ২ সপ্তাহ পর, জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখল ও হামলার ঘটনায় ১৩ দিনের মাথায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকেই তিনি বেপাত্তা ছিলেন।


পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর জলপাইগুড়িতে গিয়ে গা ঢাকা দেন প্রদীপ। শনিবার রাতে বাস ধরার জন্য আসেন শিলিগুড়ি বাসস্ট্যান্ডে। তখনই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।


ঠিক কী হয়েছিল? 


ঘটনাটি ঘটে গত ১৯ মে ভোরে। শিলিগুড়ি শহরের সেবক রোডের শালুগাড়ায় প্রায় তিন একর জমির ওপর অবস্থিত এই সেবক হাউস। যেটি রামকৃষ্ণ মিশনকে দান করেছিলেন এক ভক্ত। এই বাড়িতে থাকেন রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের কিছু আবাসিক। 


কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, আশ্রমের এই সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের নিয়ে সেখানে ঢুকে পড়ে জমি মাফিয়া প্রদীপ রায়। নিরাপত্তারক্ষী এবং আবাসিকদের খুনের হুমকি দিয়ে বাড়িছাড়া করা হয়। সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে ফেলার পাশাপাশি ছিনিয়ে নেওয়া হয়  মোবাইল ফোন। অভিযোগ, বেধড়ক মারধর করে সন্ন্যাসীদের শহরের বাইরে ছেড়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। 


প্রসঙ্গত, রামকৃষ্ণ মিশনের নাম করে, সন্ন্যাসীদের একাংশের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা অভিযোগ নিয়ে যখন রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে, তখন এই ঘটনা তাতে নতুন মাত্রা যোগ করে। রাজ্যে প্রচারে এসে এনিয়ে সরব হন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী।


রবিবার বিকেলেই আশ্রম কর্তৃপক্ষ ভক্তিনগর থানায় প্রদীপ রায়ের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এক ঘণ্টার মধ্যে একই থানায় রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী অক্ষয়ানন্দের বিরুদ্ধে পাল্টা FIR করেন অভিযুক্ত প্রদীপ রায়। অভিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও প্রদীপকে না ছোঁয়ায় প্রশ্ন উঠেছিল পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।


এই ঘটনায় ৬ জন গ্রেফতার হলেও মূল অভিযুক্ত অধরা ছিল। শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই নিয়ে রামকৃষ্ণ মিশনে হামলাকাণ্ডে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৭। 


 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে