রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: রয়েছে করোনা (Corona)। মানতে হবে অনেক নিয়ম-বিধি। তবু ফের স্কুল খোলার (School Re-Open) খবরে খুশি পড়ুয়ারা। ১৬ নভেম্বর খুলছে স্কুল। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) পুর-এলাকায় শুরু হল তারই প্রস্তুতি। রবিবার হল স্যানিটাইজেশন (Sanitization)।


অবশেষে ফের স্কুল, অনলাইন থেকে ফেরা অফলাইনে। ১৬ নভেম্বর থেকে খুলছে স্কুল। জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় ধুলো জমেছে স্কুলের আনাচ-কানাচে। ধুলো ঝেড়ে রবিবার স্যানিটাইজেশন শুরু হয়েছে জলপাইগুড়ি পুর এলাকার ১০টি স্কুলে। জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য সন্দীপ মাহাতো বলেন, ১৬ তারিখ থেকে খুলবে, তারই প্রস্ততি। স্যানিটাইজেশন চলছে। আরও স্কুলে হবে স্যানিটাইজেশন।


আপাতত স্কুলে এসে ক্লাস করতে পারবে নবম থেকে দ্বাদশের পড়ুয়ারা। স্কুল খুললেও, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ভাগাভাগি করে টিফিন খাওয়া বা খেলাধুলোয় মানতে হবে কড়া বিধি। তবু দীর্ঘদিন পর ক্লাসে বসে পড়াশোনা হবে, সেটা ভেবেই খুশি পড়ুয়ারা। জলপাইগুড়ির ফণীন্দ্রদেব বিদ্যালয়ের এক ছাত্রের কথায়, স্কুল খুলছে খুশি। বহুদিন পর স্কুলে যাব ভালো লাগছে। ওই জেলার  সোনালি গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী জুলি দাস বলে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। স্যানিটাইজেশন জরুরি। করোনা আবহে একটা খুব জরুরি।


করোনাকালে কীভাবে স্কুলে ক্লাস করা হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই গাইডলাইন জারি করেছে শিক্ষা দফতর। যেখানে বলা হয়েছে- 



  • পয়লা নভেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে হবে শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের।

  • প্রয়োজনে পড়ুয়া, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের স্টাফ স্পেশাল ট্রেনের পাস দেওয়া হবে। তা ইস্যু করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান।

  • হস্টেল খোলা যেতে পারে। তবে, কঠোর ভাবে মানতে হবে কোভিড বিধি।

  • স্কুলের হস্টেলে আইসোলেশন রুম রাখতে হবে।

  • স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও পড়ুয়াই আংটি, বালা, হার-সহ কোনও গয়না পরতে পারবেন না।

  • স্কুলে বসার ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট বিধি মানতে হবে। বেঞ্চে দু’জনের বেশি পড়ুয়া বসতে পারবে না।

  • একটি বেঞ্চে দু’জন পড়ুয়া বসলে, তার পরের বেঞ্চে একজন পড়ুয়া বসতে পারবে।

  • ক্লাসরুমে শিক্ষকের উপস্থিতিতে প্রার্থনা হবে।

  • স্কুলের করিডর, গেটে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে গোল দাগ কেটে দিতে হবে।

  • স্কুলে আপাতত অভিভাবকরা প্রবেশ করতে পারবেন না।

  • স্কুলে দেওয়া হবে না  রান্না করা মিড ডে মিল।

  • সেক্ষেত্রে, আগের মতোই বাড়িতে মিড ডে মিলের সরঞ্জাম দিয়ে দেওয়া হবে।

  • আপাতত স্কুলে কোনও খেলাধুলো বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না।

  • সব সময় ক্লাসে উপস্থিত থাকবেন একজন শিক্ষক।

  • স্কুলে জাঙ্কফুড খাওয়া যাবে না।

  • দেওয়া-নেওয়া করা যাবে না, পানীয় জল বা বই।


আরও পড়ুন: Hooghly: ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ, নিয়মবিধি পালনে কড়াকড়ি সিঙ্গুরে