রাজা চট্টোপাধ্য়ায়, জলপাইগুড়ি: দশম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রীর মৃত দেহ মাটি খুঁড়ে বের করে আবার ময়না তদন্তের জন্য উত্তর বঙ্গ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হল। পুলিশ প্রশাসন এবং ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিতে মৃতের পরিবারের লোক জনের সামনে বুধবার মালবাজার (malbazar) ব্লকের মানাবাড়ি চাবাগানে কবর খুঁড়ে মৃতদেহ উদ্ধার হয়। উল্লেখ্য গত ২৫ শে জানুয়ারি মাল ব্লকের মানাবাড়ি চাবাগানে দশম শ্রেনীর ছাত্রী মৃতদেহ উদ্ধার হয় ওদলাবাড়ি রেল লাইনে। ওই বাগানেরই অন্য সেকশনে আত্মীয়ের বাড়ি বিয়ের অনুষ্ঠানে এসে রাতে নিঁখোজ হয়ে যায়। ২৭ জানুয়ারি নিখোঁজ কিশোরীর পরিবার নিউ মাল স্টেশনে গিয়ে মৃতদেহ শনাক্ত করে।


এরপর মৃতের পরিবারসহ আত্তিয়স্বজন, ময়না তদন্তের রিপোর্টে সন্তুষ্ট হয়নি। তারা চেয়েছেন সঠিক তদন্ত হোক। প্রয়োজনে আবার ময়না তদন্ত করা হোক। এদিন কবর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করতে শিলিগুড়ি পাঠানো হয়।


এদিকে, রাজ্যের অন্য প্রান্তে অন্য একটি ঘটনায় শৌচালয় থেকে বেসরকারি সংস্থার এক কর্মীর রক্তাক্ত মৃতদেহ (Dead body) উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল হরিদেবপুরে (Haridevpur)। হরিদেবপুরে নিজের বাড়িতেই বেসরকারি সংস্থার কর্মীকে (Private Organization Employee) খুনের অভিযোগ। বাড়িতে একাই থাকতেন ওই ব্যক্তি। মৃতের নাম বাপ্পা ভট্টাচার্য। গোটা বিষয়টিতে তদন্তে লালবাজারের (Lalbazar) হোমিসাইড শাখার পাশাপাশি সায়েন্টিফিক উইং (Scientific Wing) ও ফরেন্সিক দল (Forensic Team)। মৃতদেহ যখন উদ্ধার করা হয়, তখন দেহে পচন ধরতে শুরু করেছিল বলে পুলিশ (Police) সূত্রে দাবি। তদন্তকারীদের সন্দেহ, খুন করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে।  ঘটনায় ৪ থেকে ৫ জন জড়িত থাকতে পারে। 


প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্দেহ, ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, মৃতদেহের মাথা ও শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান,  ৪ থেকে ৫ জন জড়িত ঘটনায়। তারাই ঘটনার দিন আসে বাড়িতে। খাটের উপর খুন করে দেহ সরানো হয় শৌচালয়ে। খুনের মোটিভ কী, এটাই এখন ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। কারও সঙ্গে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিবাদ হয়েছিল ওই ব্যক্তির? সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ ছিল? নাকি, ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে খুন করা হয়েছে বেসরকারি সংস্থার ওই কর্মীকে?  পুলিশ সূত্রে খবর, যে সহকর্মীদের আসার কথা ছিল, তাঁদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  সেইসঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে মৃতের মোবাইল ফোনের কল লিস্ট।