রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: কয়লা পাচারকাণ্ডের (Coal Smuggling) তদন্তে সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) ডেকে পাঠিয়েছে ইডি (Enforcement Directorate)। যা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে বিতর্ক। এই আবহে রবিবার জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) কয়লা ও গরু পাচার (Cattle Smuggling) নিয়ে হুঁশিয়ারির সুর শোনা গেল সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) গলায়। রাজ্য বিজেপি (BJP) সভাপতির দাবি, উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতা ও এখানকার পুলিশ-প্রশাসনের একাংশও কয়লা পাচারের সঙ্গে জড়িত। এই অভিযোগ তুলেই সিবিআই তদন্ত নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন সুকান্ত।
বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি, ‘উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে কয়লা এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে পার হচ্ছে। পাচারে তৃণমূল নেতৃত্ব জড়িত। অনেক পুলিশ অফিসার পয়সার ভাগ পাচ্ছে। তাদের বাধ্য করা হচ্ছে তৃণমূলের ঘরে টাকা ঢোকাতে। আগামীদিনে সিবিআইয়ের হাতে তাঁরা পড়বেন। সিবিআই তদন্ত হলে পুলিশ অফিসাররা দৌড়োদৌড়ি করবেন।’
আরও পড়ুন 'বিজেপি কর্মীর হাতেও মার খেয়েছেন দিলীপ, মানুষকে ওঁকে দেখতে দিন', তথাগতর টুইটে সমর্থন জানিয়ে বাবুল
শুধু কয়লা নয়, গরু পাচার নিয়েও সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি দাবি করেছেন, এই ইস্যুতে, জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়কে নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে দরবার করবেন।
পাল্টা রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে চ্যালেঞ্জ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের শাসক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘যারা তদন্তকারী সংস্থাকে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে তারা আর অভিষেক এক নয়। রক্ত দেব কিন্তু মাথানত করব না।’
জলপাইগুড়ি যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, উনি আদতে বিষয়টি জানেন না। বিএসএফ গরু ছেড়েছে আর পুলিশ তা উদ্ধার করেছে। বিএসএফের একাংশ গরু পাচারে যুক্ত, পুলিশ নয়। সিবিআই হলে বিএসএফের একটা অংশ জেলে যাবে। হুমকিতে ভয় পাই না আমরা। কয়লার বিষয়টিও কেন্দ্রের, তারাই দেখুক।’
সবমিলিয়ে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগকে কেন্দ্র করে সরগরম পরিস্থিতি।