কলকাতা: সামনেই আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন (West Bengal By Elections 2022)। তার আগে ফের তথাগত (Tathagata Roy) উবাচ। তাঁর বক্তব্য, “আসানসোল এবং বালিগঞ্জ কেন্দ্র দু’টি শিক্ষিত অধ্যুষিত এলাকা। সেখানে বক্ত জন্য ফিটার মিস্ত্রিটিকে নামাবেন না।” বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের এই মন্তব্য ঘিরে শোরগোল শুরু হয়েছে। বিজেপি-র (BJP) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা সংসদ দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) নিশানা করেই তিনি এমন মন্তব্য করেছেন বলে জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। আবার তথাগতর ওই টুইটকে হাতিয়ার করে দিলীপের বিরুদ্ধেই আক্রমণ শানিয়েছেন বাবুল (Babul Supriyo)।
আগামী ১২ এপ্রিল বালিগঞ্জ বিধানসভা এবং আসানসোল লোকসভার উপনির্বাচন! সেখানে ‘বিহারিবাবু’শত্রুঘ্ন সিনহাকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল (TMC), যিনি কি না দীর্ঘদিন বিজেপি-র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং কেন্দ্রে মন্ত্রীও ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে সেখানে রাজ্যের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। অন্য দিকে, বালিগঞ্জেও বিজেপি ছেড়ে আসা বাবুলকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। তাঁর বিরুদ্ধে কেয়া ঘোষকে নামিয়েছে বিজেপি। দুই প্রার্থীর হয়ে রাজ্য বিজেপি-র হেভিওয়েট নেতা দিলীপ প্রচার করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে বিজেপি-র অন্দরে।
সেই আবহেই শনিবার টুইটারে আসানসোল এবং বালিগঞ্জ নিয়ে মুখ খোলেন তথাগত। লেখেন, ‘আসানসোল এবং বালিগঞ্জে বিজেপি-র প্রার্থী নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। বেশ কথা। এ বার মনে রাখবেন, এই কেন্দ্রগুলি শিক্ষিত মানুষ অধ্যুষিত। এখানে বক্তৃতা করতে যেন ওই ফিটার মিস্ত্রীটিকে পাঠাবেন না, যাঁর বক্তব্য শুধু, ‘মেরে দেব’, ‘পুঁতে দেব’, ‘বিধবা করে দেব’। পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুর বিপদ সম্পর্কে কথা বলুন।’
এই প্রেক্ষাপটেই তথাগত রায়ের ট্যুইটকে, রিট্যুইট করে বাবুল লেখেন, ‘মাঝে মাঝে আপনি এই অর্বাচীনটির সম্পর্কে সত্যই কথাগুলি বেশ স্পষ্ট করে বলেন দাদা। কিন্তু দয়া করে বালিগঞ্জ এবং আসানসোলকে অজন্তা সার্কাস দেখা থেকে বঞ্চিত করবেন না। ওঁকে পাঠান। দিলীপ ঘোষ এমন এক জন নেতা, যিনি বিজেপি কর্মীদের হাতেও মার খেয়েছেন। ওঁকে সবার দেখার অধিকার রয়েছে।’
আর তথাগতর এই টুইট এবং বাবুলের রিটুইট ঘিরেই নয়া মাত্রা পেয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কিন্তু এই গোটা ঘটনাপর্বের তীব্র সমালোচনা করেছেন সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।
পুরভোটে পরাজয়ের পরে বালিগঞ্জ বিধানসভা এবং আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে বিজেপি-র কাছে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। কিন্তু গেরুয়া ব্রিগেডের অন্দরের টানাপোড়েন প্রকাশ্যে চলে আসায় সরগরম রাজ্য-রাজনীতি।