কলকাতা : 'হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছি। আমার প্রথমে যাওয়াই উচিত ছিল না।' বিস্ফোরক মন্তব্য তৃণমূলের পদত্যাগী সাংসদ জহর সরকারের। 'আমার রাজ্য বাংলা এখান থেকে সাফাই অভিযান শুরু করব।' প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ কনভেনশন থেকে এই আহ্বানও জানালেন তিনি।

Continues below advertisement

কী বললেন জহর সরকার ?

জহর বলেন, "তোমরা তো জানো আমি কেন ছেড়েছি। হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছি। আমার প্রথমে যাওয়াই উচিত ছিল না। এটাকে রাজনৈতিক রং দেওয়া ঠিক হবে না। জিনিসটা বোঝার চেষ্টা করুন, জনগণের ক্ষোভের স্বতঃস্ফূর্ত বহিঃপ্রকাশ। কেন ? আবার ফিরে আসছে, একটি ধর্ষণের কেস, একটি জঘন্য কেসে হয়নি। হয়েছে। দ্যাট ইজ আ ট্রিগার পয়েন্ট। আসলে চাপা রাগ-ক্ষোভ মানুষের মধ্যে ছিল। কীরকম যেন কুচক্রের রাজ চলছে। কয়েকটি ঘটনা হচ্ছে...আমি যেটা আমার চিঠিতে লিখেওছি। রাতারাতি বড়লোক হয়ে যাচ্ছে, রাতারাতি দাদাগিরি করছে...তখন আমাকে অনেকেই প্রশ্ন করল, এর আগে কি হয়নি ? আমি বলছি, এর আগেও হয়েছে। কিন্তু, এমন একটা পর্যায়ে চলে গেছে যেখানে মানুষের সহ্যশক্তির বাইরে চলে গেছে। একটি বাড়ির বারান্দা মেরামত করতে গেলে কিছু দিতে হবে। কোনও কিছু করতে গেলে কিছু দিতে হবে। চারিদিকে সিন্ডিকেট....আমি অত জানি না...কিন্তু শুনেছি এমন একটা পরিস্থিতি চলছে চারিদিকে...যেখানে তার একটা বিহিত করতেই হবে। এই জনআক্রোশ দেখে যদি মানুষ শেখে সেটাই সবথেকে বড় লাভ। এই কেস থেকে যতগুলো গলদ বেরোবে...গলদে ভর্তি। প্রশাসক হিসাবে ৪৫ বছর দেখেছি...জানি কোনটা ভাল ব্যাট, কোনটা খারাপ ব্যাট, কোনটা ভাল বল...এগুলো বুঝি। আমি চেয়েছিলাম, যেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে পরে চিঠিতে লিখতে হল, আপনি একটু হাত বাড়ান। আপনি তো আগে ঝাঁপিয়ে পড়তেন। আমি জানি না। আমি তখন ওদিকে ছিলাম। সরকারি দিকে। যখন তখন যেখানে ইচ্ছা ঝাঁপিয়ে পড়ে...কী করছেন...মিটিয়ে নিন। কিছু চক্র সারা ভারত চালাচ্ছে। তাতে কিছু যায় আসে না আমার। আমার রাজ্য বাংলা এখান থেকে সাফাই অভিযান শুরু করব।"

Continues below advertisement

আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আগেই। সেইমতো দিনকয়েক আগে তৃণমূলের রাজ্য়সভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন জহর সরকার। সংসদ ভবনে গিয়ে, রাজ্য়সভার চেয়ারম্য়ান জগদীপ ধনকড়ের কাছে ইস্তফা পত্র দেন তিনি। আর জি কর-কাণ্ড থেকে শুরু করে দুর্নীতি ইস্যু নিয়ে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে ইস্তফার ঘোষণা করেছিলেন, অবসরপ্রাপ্ত IAS অফিসার জহর সরকার।