করুণাময় সিংহ, মালদা: আর কয়েকদিন বাদেই বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপুজো। তার আগে টানা একমাস ধরে জলমগ্ন মালদা (Malda) শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ডের নেতাজি কলোনি। এর ফলে প্রবল সমস্যায় পড়েছেন ওই এলাকার মানুষজন। 


স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে বর্ষার শুরুতেই ওই এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এবছরও তার কোনও ব্যতিক্রম হয়নি। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে গোটা এলাকা। ফলে জমা জলের মধ্যে দিয়েই জীবনযাপন করতে হচ্ছে ওই এলাকার বাসিন্দাদের। বিষয়টি মালদা পুরসভার স্থানীয় কাউন্সিলরকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। গত বছর কাউন্সিলর মাপজোক পর্যন্ত করে গিয়েছেন। 


আরও পড়ুন: Viswakarma Puja : বিশ্বকর্মা পুজোয় শুধুই ঘটস্থাপন, পাশে 'বিচার চাই' ঘুড়ি, আরজি কর কাণ্ডে অভিনব প্রতিবাদ ব্যবসায়ীর


কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। জল পচে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের চর্মরোগ দেখা দিচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রশাসনের উপর তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জল জমার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলরও। তিনি জানান, এটা নতুন সমস্যা নয় দীর্ঘ বছরের সমস্যা। তবে জল নিকাশের জন্য ইতিমধ্যেই পুরসভার উদ্যোগে হাইড্রেন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, হাইড্রেন তৈরি হয়ে গেলে জল জমার সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে। আর অসুবিধা হবে না বলেই মনে হয়।


আরও পড়ুন: Satyajit Biswas Murder Case: তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের মামলায় বেকসুর খালাস মুকুল রায় ও জগন্নাথ সরকার


কবে হাইড্রেন তৈরি হবে? কবেই বা তাঁদের সমস্যার সমাধান হবে সেই প্রশ্নই এখন তুলছেন নেতাজি কলোনির বাসিন্দারা। কারণ, এর আগেও নানা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের।


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি ও ডিভিসির ছাড়া জলের কারণে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে। বুধবার হাওড়া ও হুগলির বিভিন্ন জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই এই পরিস্থিতিকে ম্যানমেড বলে অভিযোগ করেন তিনি। জানান, বাংলাকে ডোবানোর পরিকল্পনা করেই না জানিয়ে সাড়ে তিন লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি।   


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: Jamalpur News: DVC-র ছাড়া জলে প্লাবিত জামালপুরের দামোদর নদের তীরবর্তী এলাকা, আতঙ্কে বাসিন্দারা