ঝালদা: ভাড়াটে খুনি দিয়ে ভাইকে খুন করা অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। তাই নিয়ে উত্তাল পুলিশ-প্রশাসন থেকে রাজ্যের রাজনীতি (Tapan Kandu Murder)। এ বার গোটা ঘটনায় মুখ খুললেন ঝালদায় নিহত কংগ্রেস নেতার তপন কান্দুর দাদা নরেন কান্দু (Jhalda Congress Leader Murder)। জানালেন, তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ। ভাইয়ের খুনের সঙ্গে কোনও ভাবে জডি়ত নন।
পুরুলিয়ার ঝালদায় খুন হন কংগ্রেস নেতা তপন। সেই মামলার তদন্তে নেমে শনিবার নরেন এবং স্থানীয় ধূপ ব্যবসায়ী আশিক খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খুনের ঘটনায় এর আগে গ্রেফতার হয় সুপারি কিলার কলেবর সিং এবং নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের ভাইপো দীপক কান্দু। ধৃত নরেন এবং আশিকের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত হয়েছে। কিন্তু ভাই তপনকে খুনের কথা অস্বীকার দাদা নরেনের। তিনি বলেন, ''আমি নির্দোষ। ভাইয়ের খুনের সঙ্গে জড়িত নই।''
যদিও পুরুলিয়ার পুলিশ সুপারের দাবি, তপন কান্দুকে খুন করেছে দাদা নরেন কান্দু। পারিবারিক অশান্তির জেরে খুন। খুনের জন্য ৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। তপন কান্দু খুনের নেপথ্যে রাজনীতি নেই, পারিবারিক অশান্তির জের। ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে যোগ নেই আইসি-র। খুনের ঘটনায় জড়িত আরও চারজন।
তদন্তের গতিপথ নিয়ে শুরু থেকেই অখুশি পরিবার
শুরু থেকেই এই ঘটনার তদন্তের গতিপথ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন নিহত কংগ্রেস নেতার পরিবারের লোকজন। তাঁদের প্রশ্ন, কিন্তু, খুনের নেপথ্যে বড় মাথা কে? পুরবোর্ড গঠনের ঠিক মুখে কার নির্দেশে কংগ্রেস কাউন্সিলরকে মারা হল? কেন ঝালদা থানার IC কংগ্রেস কাউন্সিলরকে তৃণমূলে যোগ দিতে চাপ দিচ্ছিলেন? কেন CBI তদন্তে রাজি হচ্ছে না রাজ্য সরকার? শুধু ‘বোড়ে’দের গ্রেফতার করে কি ‘রাজা’কে লুকোনোর চেষ্টা হচ্ছে?
গত ১৩ মার্চ, প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হয়েছিল, ঝালদার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেসের কাউন্সিলর তপনকে। পুলিশের দাবি, যে তিনজন মোটরবাইকে এসে কংগ্রেস কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন কলেবার। তবে তিনিই গুলি চালিয়েছিলেন কি না, জিজ্ঞাসাবাদ করে তা জানার চেষ্টা করা হবে। পুলিশ সূত্রে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। কংগ্রেস কাউন্সিলরকে খুন করতে ৩ জন শার্প শ্যুটারকে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। যদিও CBI তদন্তের দাবিতে অনড় কংগ্রেস। তৃণমূলের দাবি, পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্তই করছে।
এখনও অধরা বহু প্রশ্নের উত্তর
কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের পর থেকেই, ঝালদা থানার IC সঞ্জীব ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আসছে নিহতের পরিবার। পুরভোটে তপন কান্দু জিতলেও, IC তাঁকে বারবার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ।