সন্দীপ সমাদ্দার, ঝালদা: ঝালদায় (Jhalda) কংগ্রেস কাউন্সিলর (Congress Councilor) তপন কান্দুকে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, পুরভোটের (West Bengal Municipal Election 2022) ফল নিয়ে তপন কান্দুর (Tapan Kandu) সঙ্গে তাঁর দাদা তৃণমূল কর্মী নরেন কান্দুর বেটিং হয়। দুই ভাইয়ের মধ্যে যে পরাজিত হবে, সে মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। ফল প্রকাশের পর ভাইকে বেটিং জেতার টাকা দেন তৃণমূল প্রার্থী দীপক কান্দুর বাবা নরেন কান্দু। সিটের (SIT) তদন্তে এই তথ্য উঠে এসেছে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। কংগ্রেস কাউন্সিলরকে (Congress Councilor) খুনের সঙ্গে এর কোনও যোগ রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঝালদায় (Jhalda) কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তাঁরই ভাইপো, পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী দীপক কান্দুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সপ্তাহদুয়েক আগের পুরভোটে ঝালদার ২ নম্বর ওয়ার্ড সরগরম ছিল কাকা ও ভাইপোর লড়াইয়ে। কাকা কংগ্রেস প্রার্থী, ভাইপো তৃণমূল প্রার্থী তখন থেকেই সবার নজর টেনেছিল কাকা-ভাইপোর সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী মনোভাব। রাজনৈতিক লড়াইয়ে নামলেও, কংগ্রেস প্রার্থী কাকার কথায়, শুরু থেকেই তৃণমূল প্রার্থী ভাইপোর প্রতি অভিভাবকসুলভ স্নেহের স্পষ্ট আভাস মিলেছিল। এবিপি আনন্দের কাছে আছে সেই সময়কার সেই এক্সক্লুসিভ বাইট।
ভোট প্রচারে নেমে তপন কান্দু বলেন, “কাকা-ভাইপোর সম্পর্ক তেমনই থাকবে। এর মধ্যে রাজনীতি নেই।’’ কিন্তু, উল্টোদিকে তৃণমূল প্রার্থী ভাইপোর গলায় ঝরে পড়েছিল কংগ্রেস প্রার্থী কাকার প্রতি চরম লড়াইয়ের মনোভাব। দীপক কান্দু বলেন, “সবাই প্রতিদ্বন্দ্বী, কাকা বলে কেউ নেই।’’এরপর ভোটের ফল বের হয়। কংগ্রেস প্রার্থী কাকা জয়ী হন। তৃণমূল প্রার্থী ভাইপো পরাজিত হন। এবার খুন হতে হল কাকাকে। গ্রেফতার হলেন ভাইপো।
এদিকে ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে খুনের ঘটনায় এবার এক সন্দেহভাজনের স্কেচ প্রকাশ করল পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার এস সিলভা মুরুগান ছবি পোস্ট করে জানান, ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান অনুযায়ী পোর্ট্রেট আঁকানো হয়েছে। ওই সন্দেহভাজনের ধরতে পুলিশকে সহযোগিতা করলে তাকে পুরস্কৃত করা হবে। কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে খুনের ঘটনায় তাঁর ভাইপো তৃণমূল কর্মী দীপক কান্দুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।