সন্দীপ সমাদ্দার ও মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়: তৃণমূল প্রার্থী ভাইপোকে হারিয়ে, পুরভোটে (West Bengal Municipal Election 2022) জেতার সপ্তাহ দুয়েক পর, খুন হয়েছেন ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর (Congress Councilor) তপন কান্দু (Tapan Kandu)। গ্রেফতার হয়েছেন ভাইপো। প্রচার-পর্বে কাকা-ভাইপোর লড়াইয়ের পারদ কতটা চড়েছিল? পরস্পরের প্রতি তাঁদের মনোভাব কেমন ছিল? তা ধরা পড়েছিল পুরনো বক্তব্যেই।
ঝালদায় (Jhalda) কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় দু’দিন পর, তাঁরই ভাইপো, পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী দীপক কান্দুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সপ্তাহদুয়েক আগের পুরভোটে ঝালদার ২ নম্বর ওয়ার্ড সরগরম ছিল কাকা ও ভাইপোর লড়াইয়ে। কাকা কংগ্রেস প্রার্থী, ভাইপো তৃণমূল প্রার্থী তখন থেকেই সবার নজর টেনেছিল কাকা-ভাইপোর সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী মনোভাব। রাজনৈতিক লড়াইয়ে নামলেও, কংগ্রেস প্রার্থী কাকার কথায়, শুরু থেকেই তৃণমূল প্রার্থী ভাইপোর প্রতি অভিভাবকসুলভ স্নেহের স্পষ্ট আভাস মিলেছিল। এবিপি আনন্দের কাছে আছে সেই সময়কার সেই এক্সক্লুসিভ বাইট।
ভোট প্রচারে নেমে তপন কান্দু বলেন, “কাকা-ভাইপোর সম্পর্ক তেমনই থাকবে। এর মধ্যে রাজনীতি নেই।’’ কিন্তু, উল্টোদিকে তৃণমূল প্রার্থী ভাইপোর গলায় ঝরে পড়েছিল কংগ্রেস প্রার্থী কাকার প্রতি চরম লড়াইয়ের মনোভাব। দীপক কান্দু বলেন, “সবাই প্রতিদ্বন্দ্বী, কাকা বলে কেউ নেই।’’এরপর ভোটের ফল বের হয়। কংগ্রেস প্রার্থী কাকা জয়ী হন। তৃণমূল প্রার্থী ভাইপো পরাজিত হন। এবার খুন হতে হল কাকাকে। গ্রেফতার হলেন ভাইপো।
এদিকে ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে খুনের ঘটনায় এবার এক সন্দেহভাজনের স্কেচ প্রকাশ করল পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার এস সিলভা মুরুগান ছবি পোস্ট করে জানান, ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান অনুযায়ী পোর্ট্রেট আঁকানো হয়েছে। ওই সন্দেহভাজনের ধরতে পুলিশকে সহযোগিতা করলে তাকে পুরস্কৃত করা হবে। কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে খুনের ঘটনায় তাঁর ভাইপো তৃণমূল কর্মী দীপক কান্দুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Fraud Case: ফোন হ্যাক করে পরিচিতদের হেনস্থা, প্রতারণার চেষ্টার অভিযোগ বাঙালি সুরকারের