মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরুলিয়া: ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে ভাইপো দীপক কান্দু গ্রেফতার হলেন। পুরভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন তিনি।  পুরভোটে কংগ্রেস প্রার্থী কাকার কাছেই হারেন দীপক কান্দু।  গতকাল থেকেই দফায় দফায় জেরার পরে এদিন গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। গত ১৩ মার্চ খুন হন ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। তার আগের দিন অর্থাৎ ১২ মার্চ ঝালদা থানার আইসি ফোন করেছিলেন বলে দাবি ভাইপো মিঠুন কান্দুর। তিনি বলেন, "ফোন করে আইসি জানতে চান তৃণমূল যোগ দেওয়াতে পারব কি না।''


দলীয় কাউন্সিলরকে খুনের প্রতিবাদে আজ কংগ্রেসের ডাকা বনধে সর্বাত্মক সাড়া দেখা যায় পুরুলিয়ার ঝালদায়।  দোকানপাট, বাজার বন্ধ। গাড়ি ঘোড়া চলছে না। বাস চলাচলও বন্ধ। আজ সকালে কংগ্রেস কর্মীরা ঝালদা শহরে প্রতিবাদ মিছিল করেন।  মিছিল পা মেলান বাম কর্মী-সমর্থকরাও। পুরুলিয়ার অন্যত্রও বনধের মোটামুটি প্রভাব পড়েছে।  ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে খুনের প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছিল কংগ্রেস।  


এর আগে কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে ঝালদা থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছে পরিবার। তাদের দাবি, বোর্ড গঠনের জন্য কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে তৃণমূলে যোগ দিতে চাপ দিচ্ছিলেন ঝালদা থানার IC। এই প্রেক্ষাপটে, ফোনে কথোপকথনের একটি অডিও সামনে এনেছেন নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের ভাইপো। তাঁর দাবি, এটি তাঁর সঙ্গে ঝালদা থানার IC’র কথোপকথনের অডিও রেকর্ডিং। 


এদিন এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিঠুন কান্দু বলেন, "ভোটের ফল ঘোষণার পর থানায় ডেকে পাঠিয়েছি। তিন জন কাউন্সিলরের মধ্যে কাউকে তৃণমূলে জয়েন করাতে বলেছিল। আমি বলেছিলাম জিজ্ঞেস করে দেখছি। মাঝেমধ্যে আমাকে ফোনও করত। জানতে চেয়েছিলাম চেয়ারম্যান করবে কি না। তাতে বলেছিল, চেয়ারম্যান হবে না। ভাইস চেয়ারম্যান করব। আমাকে অনেকবার ফোন করেছিল। বারবার থানায় ডেকে পাঠায়। আইসি বলেছিল কাকাকে কেস দেবে।'' তাঁর দাবি তপন কান্দুকে এই বিষয়ে জানানোর পর প্রয়াত কাউন্সিলর জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি দল ত্যাগ করবেন না। নিহত কাউন্সিলরকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি মিঠুনের।