অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: ফের ঝাড়গ্রামে হাতির তাণ্ডব। বালিভাষা ও মোহনপুরে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ৬০-৭০টি হাতির দল। চাষের জমিতে নেমে নষ্ট করছে ফসল।


ঝাড়গ্রামে হাতির তাণ্ডব: গতকাল রাতে সাঁকরাইলের হাঁড়িভাঙা গ্রামে হানা দেয় হাতির দল। বিঘের পর বিঘে জমির ফসল নষ্ট করে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। ঝাড়গ্রামে মাঝেমধ্যেই হাতির তাণ্ডব দেখা যায়। এই নিয়ে বন দফতর ও এই জেলার বাসিন্দা বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার ভূমিকায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন জেনেও তারা নির্বিকার বলে অভিযোগ। বন দফতরের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। দিনকয়েক আগে ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইলের বটডাঙ্গা গ্রামে ৭০ থেকে ৮০টি হাতির তাণ্ডব। নাজেহাল স্থানীয় বাসিন্দারা। বাড়িঘর ভাঙচুর, ফসল নষ্ট থেকে লাগাতার মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। আজ সকালে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে হাতির দল। বন দফতরকে খবর পাঠানো হয়।                                                                      


হাতির তাণ্ডবে জেরবার: চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়, প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। হাতি উপদ্রবের জেরে বাঁকুড়ার জঙ্গল লাগোয়া তিনটি পরীক্ষাকেন্দ্রকে বিপজ্জনক হিসাবে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছে বন দফতর। এই তিনটি পরীক্ষাকেন্দ্র হল বড়জোড়া হাইস্কুল, বেলিয়াতোড় হাইস্কুল ও গদারডিহি হাইস্কুল। সূত্রের খবর, যথেষ্ট সংখ্যক হুলা পার্টি মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি এই প্রথম জঙ্গল লাগোয়া ২০টি গ্রাম থেকে শতাধিক পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া আসার ব্যবস্থা করেছে বন দফতর। এরজন্য মোট ১৪টি গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাতায়াত করতে পারে তার জন্য ইলেকট্রিক ফেন্সিং রয়েছে এমন রুটকেই চিহ্নিত করা হয়েছে। শুধুমাত্র সেই রুট ধরেই পরীক্ষার্থীদের নিয়ে গাড়িগুলির যাতায়াতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সারা বছরই হাতির দলের তাণ্ডব লেগে থাকে বাঁকুড়ার পাবয়া, ডাকাইসিনি,  কালপাইনি সহ জঙ্গলঘেরা বিভিন্ন গ্রামে। স্কুল কলেজ থেকে বাজার এমনকি দৈনন্দিন কাজে যাতায়াতের পথে মাঝেমধ্যেই সাধারণ মানুষকে পড়তে হয় হাতির হামলার মুখে। বিভিন্ন সময় প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। 


আরও পড়ুন: Premature Grey Hair: অসময়ে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা এড়াতে কী কী করবেন এবং কী কী করবেন না