অমিতাভ রথ,ঝাড়গ্রাম: আবারও ঝাড়গ্রামের(Jhargram) নয়াগ্ৰামের (Nayagram) কৃষি জমি লাগোয়া এলাকায় হাতির মৃত্যুর (Death Of Elephant)ঘটনা ঘটল। শনিবার সকালের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। জানা গেছে এদিন সকালে নয়াগ্ৰামের মলম ৪ নম্বর অঞ্চলের কপ্তিভোল গ্রামের কৃষি জমি লাগোয়া জায়গায় একটি পূর্ণ বয়স্ক দাঁতালের মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।পরে ঘটনার খবর বন দফতরে দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে বন দফতরের কর্মীরা এসে হাতিটিকে উদ্ধার করার জন্য তোড়জোড় শুরু করেছেন।তবে হাতিটির মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনও কিছু জানতে পারেননি বন দফতরের কর্মীরা। তাঁদের কথায়, মৃত হাতিটির ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাশে না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
তবে নয়াগ্ৰাম তথা জঙ্গলমহল হাতি মৃত্যুর ঘটনায় বন দফতরের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।কারণ জঙ্গলমহল দিনের পর দিন হাতির উপদ্রব থাকা সত্ত্বেও কি বন কর্মীরা হাতির স্বাস্থ্য এবং গতিবিধি নিয়ে ঠিকঠাক খোঁজ খবর নিচ্ছেন না? এমনই সব প্রশ্ন উঠেছে।
বিগত কিছুদিন ধরেই ঝাড়গ্রাম ও সংলগ্ন এলাকাগুলিতে হাতির দলের হানার ঘটনা ঘটেছে। কিছুদিন আগেই হাতির হানায় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। নয়াগ্ৰামের এক প্রৌঢ় মহিলা হাতির হানায় মারা গিয়েছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছিল নয়াগ্ৰাম ব্লকের বড়খাকড়ি অঞ্চলের রামচন্দ্রপুর গ্রামে।মৃত মহিলার নাম ইচ্ছামতী বেরা। তাঁর বয়স ৬৫ বছর। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছিল, প্রতি দিনের মত ইচ্ছামতী দেবী ঘটনার দিন সকালে বাড়ি লাগোয়া বনাঞ্চলে গিয়েছিলেন নি। সেই সময় জঙ্গলের হাতির সামনে পড়ে যান ওই মহিলা। সঙ্গে সঙ্গে ওই হাতিটি শুঁড়ে জড়িয়ে আছাড় দিয়ে মেরে ফেলে ইচ্ছামতী বেরাকে। গ্রামের একজন দরিদ্র পরিবারের মহিলা হাতির হানায় মারা যাওয়ায় রামচন্দ্রপুর এলাকায় যেমন শোকের ছায়া নেমে এসেছে, সের কম দিনের পর দিন হাতির হানা হওয়ায় এলাকার মানুষের মধ্যে তৈরি হয় তীব্র আতঙ্ক। পাশাপাশি নয়াগ্ৰামের বনাঞ্চলে নিয়মিত হাতির আনাগোনা সত্ত্বেও বন দফতর উদাসীন বলে অভিযোগ তুলে ক্ষোভও প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।