অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: প্রবল বৃষ্টিতে বিপত্তি। ঝাড়গ্রামের কংসাবতী নদীতে তলিয়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। এখনও নিখোঁজ আরও দুই ব্যক্তি। স্থানীয়দের অভিযোগ নদীতে বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রশাসনের বিষয়টির উপর নজর দেওয়া উচিত বলে দাবি তাঁদের। 

তলিয়ে মৃত্যু ব্যক্তির: অতি বৃষ্টিতে ঝাড়গ্রামে কংসাবতী নদীতে ফের তলিয়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তি। কংসাবতী নদীতে জল ছাড়ার ফলে ভিন জায়গায় তলিয়ে গেলেন দুই ব্যক্তি। এখনও পর্যন্ত দুই জনেই নিখোঁজ। উল্লেখ্য মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে কংসাবতী নদীতে জল ছাড়া হয়েছে ৬ হাজার কিউসেক। অভিযোগ, এইজন্য মুকুটমণিপুর জলাদার কর্তৃপক্ষ মাইকিং ও সতর্কতামূলক প্রচারও করে। দুটি আলাদা আলাদা জায়গা থেকে ফের কংসাবতী নদীতে তলিয়ে যাওয়ার ঘটন ঘটল। গতকাল দুপুরে মানিক পাড়ার বড়বাড়ি এলাকায় স্নান করতে নেমে পুকুরে ডুবে যান এক যুবক। আজ সকালে ভেসে ওঠে ওই যুবকের দেহ। মানিকপাড়া বিড হাউসের পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। অপর ঘটনাটি মানিকপাড়ার দুর্গাপুর এলাকায়। গতকাল বিকেলে ওই ব্যক্তি নদীতে নেমেছিলেন তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে। উল্লেখ্য এক সপ্তাহের মধ্যে কংসাবতী নদীতে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা দুই। সব মিলিয়ে ঝাড়গ্রামে এমন ঘটনা চারটি।

দিনদুয়েক আগ দ্বারকেশ্বর নদে স্নান করতে নেমে বিপত্তি ঘটে। জলের তোড়ে তলিয়ে যায় নবম শ্রেণির তিন পড়ুয়া। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার ষাঁড়েশ্বর মন্দিরের কাছে দ্বারকেশ্বর নদের দমদমা ঘাটে। ঘটনার খবর পেয়ে প্রথমে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছ বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। নিখোঁজ পড়ুয়াদের সন্ধান শুরু করেছে তারা। পরে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে স্পিড বোট নিয়ে নদীতে তল্লাশি শুরু করে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ৮ থেকে ১০ জন পড়ুয়া দুপুর একটা নাগাদ সাইকেলে করে ষাড়েশ্বর শিব মন্দির লাগোয়া দ্বারকেশ্বর নদের দমদমা ঘাটে যায়। সেখানে অন্যান্যরা পাড়ে বসে থাকলেও অর্কদীপ দাস, সায়ন চট্টোপাধ্যায় ও পরমেশ্বর মিশ্র নামের তিন পড়ুয়া দ্বারকেশ্বর নদে স্নান করতে নামে। নদীতে নামতেই প্রবল স্রোতে ভেসে গিয়ে তলিয়ে যেতে থাকে ওই তিন পড়ুয়া। এই ঘটনা দেখে নদের পাড়ে থাকা বন্ধুরা চিৎকার করতে শুরু করে। তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে ওই তিন পড়ুয়ার খোঁজ শুরু করে। খবর পেয়ে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী হাজির হয়। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর লোকজন স্পিড বোট নিয়ে নদীজুড়ে তল্লাশি শুরু করে।