অমিতাভ রথ,ঝাড়গ্রাম :  এনক্লোজারে রয়েছে দুই ছানা। তাই পালিয়ে গেলেও চিড়িয়াখানা চত্বরেই থেকে গিয়েছিল চিতাবাঘ। ১৭ ঘণ্টা পর মিলল খোঁজ। বন দফতর সূত্রে খবর, চিতাবাঘকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে বশে আনার চেষ্টা চলে। এরপর ঘুমপাড়ানি গুলি করে চিতাবাঘটিকে কাবু করে খাঁচায় ফেরানো হয়েছে বলে জানা গেছে।


 গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ ঝাড়গ্রাম জুলজিক্যাল পার্কে এনক্লোজার টপকে পালিয়ে যায় চিতাবাঘটি। এই খবরে সমগ্র  এলাকাতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানা। এই ঘটনায় বন দফতরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বন দফতরের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


২০১৮ সালে আনা হয়েছিল চিতাবাঘটিকে। সেটি এনক্লোজার থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর সতর্কতায় বনদফতরের তরফে এলাকাজুড়ে প্রচার করা হয়। মাইকে প্রচার করে মানুষকে সতর্ক করা হয়।  লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলা হয় এবং এ ধরনের কোনও জন্তু দেখলে থানা বা বন দফতরে খবর দিতে বলা হয়। 


রাতভর তল্লাশির পর এদিন চিতাবাঘটিতে চিড়িয়াখানা চত্বরেই দেখতে স্বস্তির নিশ্বাস পড়ে। ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে করে চিতাবাঘটিকে খাঁচায় ফেরানো হয়। পুরো প্রক্রিয়ায় চলে বন দফতরের আধিকারিকদের পর্যবেক্ষণে। জানা গেছে, শিলিগুড়ি-ডুয়ার্স অঞ্চল থেকে ওই চিতাবাঘটিকে আনা হয়েছিল। শিলিগুড়ি ডুয়ার্স অঞ্চলে ওই চিতাবাঘের হামলায় কয়েকজন জখম হয়েছিল। এরপর তাকে ধরে তিন বছর আগে জঙ্গল মহলে পাঠানো হয়েছিল। এই চিতাবাঘের নাম রাখা হয় হর্ষিণী। ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানায় হর্ষিণী সহ দুটি চিতাবাঘ রয়েছে। 


চিতাবাঘটি ধরা পড়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনই এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। গতকাল রাতে রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যায়। চিতাবাঘটির ধরা পড়ার খবর খুবই স্বস্তিদায়ক। তবে বন  দফতরের আরও সতর্ক হওয়া উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।