অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রামে ফের মাওবাদীদের নামে পোস্টার ঘিরে আতঙ্ক ছড়াল। আজ সকালে বিনপুর থানার নারায়ণপুরে মাওবাদীদের নামে পোস্টার মেলে। স্থানীয় বাসিন্দারা পোস্টার দেখে পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ এসে পোস্টারগুলি খুলে নিয়ে যায়। গত শনিবার ঝাড়গ্রামেরই (Jhargram) মানিকপাড়া ও সরডিহায় মাওবাদীদের নামে পোস্টার উদ্ধার হয়েছিল। গত ১৫ এপ্রিল থেকে জঙ্গলমহলে (Junglemahal) জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। তার মধ্যেই একের পর এক জায়গায় মাওবাদীদের নামে পোস্টার ।
জঙ্গলমহলে হাই অ্যালার্ট: অন্যদিকে মাওবাদী আতঙ্কে জঙ্গলমহলে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট (High Alert)। এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন জানান রানিবাঁধের (Ranibandh) তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতি। জঙ্গলমহলের কয়েকজন শাসক নেতা একই আর্জি জানিয়েছেন। যা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি।
মাওবাদী নাশকতার আশঙ্কায় জঙ্গলমহলে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে নাকা তল্লাশির পাশাপাশি, অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র হাতে গভীর জঙ্গলে টহল দিচ্ছে স্ট্র্যাকো বাহিনী। তৈরি রাখা হয়েছে অ্যান্টি ল্যান্ডমাইন ভেহিকল।
এই প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন জানান খোদ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। সূত্রের খবর, শুধু রানিবাঁধের তৃণমূল সভাপতি নন, বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের আরও বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা পুলিশের কাছে একই আর্জি জানিয়েছেন।
বাঁকুড়ায় বিতর্ক: জঙ্গলমহলে (Junglemahal) মাওবাদী (Maoist) নেই। বাঁকুড়ার (Bankura) রানিবাঁধের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক ও খাদ্য সরবরাহ দফতরের প্রতিমন্ত্রী এই চাঞ্চল্যকর দাবি করেন সম্প্রতি। যদিও এ নিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করে বিজেপি (BJP)।
মাওবাদী নাশকতার আশঙ্কায় জঙ্গলমহলে (Junglemahal) জারি হয় হাই অ্যালার্ট। এ নিয়ে তত্পরতা বেড়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর। বিভিন্ন রাস্তায় চলছে নাকা তল্লাশি। গভীর জঙ্গলে টহল দিচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী।
সূত্রের দাবি, এই পরিস্থিতিতে বাঁকুড়ার রানিবাঁধের ব্লক তৃণমূল সভাপতি সহ শাসকদলের ৫ জন নেতা বাড়তি নিরাপত্তারক্ষী চেয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন। এই যখন অবস্থা, তখন রানিবাঁধের তৃণমূল বিধায়ক ও খাদ্য সরবরাহ দফতরের প্রতিমন্ত্রী জ্যোত্স্না মান্ডি চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন। তাঁর দাবি, জঙ্গলমহলে মাওবাদী নেই।