অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: রোজ দেয় 'হানা' ! পাহারায় ক্ষুব্ধ চাষীর দল, তবে আজ কেন এল না ? সরিষা খেতের মাঝে চিরঘুমের দেশে দাঁতাল।নয়াগ্ৰামে ফের হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।
মঙ্গলবার নয়াগ্ৰাম ব্লকের মলম গ্রামে চাষিদের সরিষা জমিতে দেখা গেল একটি মৃত হাতি। জানা গিয়েছে, স্থানীয় চাষীরা এদিন মাঠে কাজ করতে এসে দেখেন মাঠের মধ্যে বড় খড়ের গাদার মতো কিছু। পাশে গিয়ে দেখা যায় একটি মৃত হাতি পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। তবে পরে বন দফতরে খবর দিলে বন দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাতি উদ্ধারের উদ্যোগ নিচ্ছেন। তবে এলাকায় হাতিমৃত্যু এবং নিয়মিত হাতির হানায় বন দফতরের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। অভিযোগ নিয়মিত হাতির হানা হলেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বন দফতর।
বাইশ শালে ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম ব্লকের তিন নম্বর বড়খাঁকড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের রঘুনাথপুর এলাকায় পূর্ণবয়স্ক একটি হাতিটির মৃত্যু হয়েছিল অনেকটা এইভাবেই। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই গ্রাম পঞ্চায়েতেরই বিড়িবাড়িয়া জঙ্গল লাগোয়া রঘুনাথপুর এলাকায় চাষের জমিতে তার দেহ পড়ে থাকতে দেখেছিল। এরপর তাঁরাই বিষয়টি ফোন করে বন দফতরকে জানিয়েছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলে বন দফতর এর আধিকারিকরা।
খাবারের খোঁজে অনেকসময়ই হাতির দল লোকালয়ে নেমে আসে। কখনও খাবার পায়, কখনও আবার চাষের জমিতে হামলা চালায়। কখনও আবার হাতি নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়। তবে এবার ঘুমের ঘোরে আর দাঁতালের মুখোমুখি হতে হবে না। বাঁকুড়া উত্তর বর্ণ বিভাগের বেলিয়াতোড় ফরেস্ট রেঞ্জের উদ্যোগে, এক বিশেষ কৌশল নেওয়া হয়েছিল বুনো হাতিদের জন্য।
প্রসঙ্গত বাঁকুড়ার উত্তর বনবিভাগ এলাকার বড়জোড়া রেঞ্জ ও বেলিয়াতোড় রেঞ্জ এলাকায় হাতি করিডোর করা হয়েছিল। বা বেলিয়াতোড় জঙ্গল যে সমস্ত গ্রামগুলি রয়েছে সেগুলি হাতি প্রবণ এলাকা। বিভিন্ন সময় দেখা যায় জঙ্গলের মধ্যে খাবার না পেয়ে হাতির দল লোকালয়ে ঢুকে পড়ে খাবারের সন্ধানে এবং তার ফলে মানুষের বহু ক্ষতি হয়। এবার এই সাধারণ মানুষদের কথা ভেবে এবং বনের মধ্যেই হাতিদের খাবারের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয় বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগের বেলিয়াতোড় ফরেস্ট রেঞ্জের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন, রাজ্যজুড়ে মোটা টাকার বিনিময়ে জাল বার্থ সার্টিফিকেট সরবরাহ ! তবে কি সরকারি ওয়েবসাইটও হ্যাক ?
উত্তরবঙ্গ থেকে বিশেষ ঘাস এনে লাগানো হয় জঙ্গল এলাকায় এবং হাতিদের প্রিয় খাবার ও খাবার যোগ্য যে সমস্ত দেশি ফলের গাছ রয়েছে যেমন কলা, কাঁঠাল, ইত্যাদি গাছ লাগানো হচ্ছে বেলিয়াতোড় রেঞ্জের জঙ্গলে।এতে খুশি সাধারণ মানুষ।