অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: গোটা গ্রামে একটাই জিলিপির দোকান। একটানা কারিগররা জিলিপি বানিয়ে চলেছেন। তাও দিয়ে কুলিয়ে ওঠা যাচ্ছে না। প্রায় গোটা জেলার লোকেরই নজর থাকে লক্ষীপুজোর (Laxmi Puja) সময় এই বিশেষ জিলিপির (Jalebi) দিকে। ছবিটা ঝাড়গ্রাম জেলার হাড়দা গ্রামের।


লক্ষী পুজো থেকে শুরু করে ভাই ফোঁটা পর্যন্ত দোকান থাকে


১৬০ বছর ধরে চলে আসছে এই পরম্পরা। প্রতি বছর এই গ্রামে ধুমধাম করে লক্ষী পুজা হয়। পুজোর বিশেষ আকর্ষণ এই জিলিপি। পুজোর আগে নিলাম করা হয়, কে দোকান দেবেন, তা নিয়ে। সর্বোচ্চ দাম যে দেন তিনিই অনুমতি পান দোকান দেওয়ার। লক্ষী পুজো থেকে শুরু করে ভাই ফোঁটা পর্যন্ত দোকান থাকে। এই সময় দ্বিতীয় কোনও দোকানে জিলিপি  তৈরী হবে না। এবং অদ্ভুত বিষয় এই পুজোর সময়ের জিলিপির স্বাদ। অন্য সময় একই উপকরণ দিয়ে তৈরি করলেও জিলিপির সেই স্বাদ হয় না। ১৬০ বছরের পড়ল এবারের লক্ষী পুজো। আর এই ১৬০ বছর ধরেই এই পরম্পরা চলে আসছে।


আরও পড়ুন, ১৪ দিনের ইডি হেফাজতে মানিক ভট্টাচার্য


শুভবিজয়ায় মিষ্টিমুখটা সব থেকে উপভোগ করে বাঙালিরা


প্রসঙ্গত, মিষ্টিমুখ না করালে উৎসবের দিনগুলো যেন সঠিকভাবে পালন করা হয় না। তাই স্বাস্থ্যের খেয়াল রেখেই মিষ্টি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, বাড়িতেই এমন কিছু মিষ্টি তৈরি করে নেওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যকর উপাদান দিয়ে তৈরি হবে। তাই স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও থাকবে না বিশেষ। আর মিষ্টির কথা বললেই সবার প্রথমে মনে আসে জিলিপির কথা।  বাঙালির এই সবচেয়ে বড় উৎসবে, মেতে ওঠে সবাই। তার উপর দুর্গা পুজোয় যেভাবে মাছ, মাংস দিয়ে হইহই করে জমিয়ে খাওয়ার রেওয়াজ থাকে, সেভাবেই শুভবিজয়ায় মিষ্টিমুখটা সব থেকে উপভোগ করে বাঙালিরা। আর এই পুজোর মরসুমে মিষ্টি খাওয়ার ধুম থাকেই। তবে জিলিপি নিয়ে এমন ঘটনা খুব কমই চোখে পড়বে। করোনা পরিস্থিতি একটা বিষয়ে মানুষকে অনেক বেশি সচেতন করে তুলেছে। আর সেটা অবশ্যই স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার বিষয়ে। অতিমারীতে মানুষ অনেক বেশি স্বাস্থ্য সচেতন হয়েছে। তারই মধ্যে চলছে উৎসবের মরশুম। যাবতীয় কোভিড বিধি মেনে বহু মানুষ উৎসবের দিনগুলোয় আনন্দে মেতে উঠেছেন।