অমিতাভ রথ, সোমনাথ দাস ও সৌমেন চক্রবর্তী, শালবনি: গত কয়েক দিন ধরে শালবনির (Shalboni) কুমিরকাতা (Kumirkata), লক্ষ্মণপুরের জঙ্গলে জন্তুর পায়ের ছাপ ঘিরে আতঙ্ক। নেকড়ের পায়ের ছাপ বলে অনুমান বন দফতরের (Forest Department)। জাল দিয়ে ঘিরে নেকড়ে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকতে পরমর্শ দিল প্রশাসন।


জন্তুর পায়ের ছাপ ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য শালবনিতে। গত চারদিন ধরে কুমিরকাতা, লক্ষ্মণপুরের জঙ্গলে জন্তুর পায়ের ছাপ ঘিরে আতঙ্ক গ্রাস করেছে গ্রামবাসীদের। শনিবার সকালেও কুমিরকাতার জঙ্গলে একটি জলাশয়ের ধারে মিলেছে সেই ছাপ।


গ্রামবাসীদের দাবি, বেশ কয়েকটি গবাদি পশুকে টেনে নিয়ে গেছে ওই জন্তু। খবর পেয়ে গ্রামে পৌঁছন বন দফতরের কর্মীরা। বনদফতরের অনুমান, পায়ের ছাপগুলি নেকড়ের।


মেদিনীপুর ডিভিশনের ডিএফও সন্দীপ কুমার বেরওয়ালের কথায়, এটা বাঘ নয় নেকড়ে প্রজাতির। নজরদারি চলছে। সন্ধে পর জঙ্গলে যেতে বারণ স্থানীয়দের। বন দফতর সূত্রে খবর, জাল দিয়ে ঘিরে নেকড়ে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। এলাকাবাসীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। 


কিছুদিন আগেই বাঘ (Tiger) নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল লালগড়ে (Lalgarh)। পশুর পায়ের ছাপ দেখা যাওয়ার পর একটি মৃত ছাগল উদ্ধার হয় গ্রাম থেকে। তারপরেই আতঙ্ক বাড়ে। যদিও পায়ের ছাপ পরীক্ষা করে বন দফতরের প্রাথমিক অনুমান, এটি বাঘের পায়ের ছাপ নয়। তাঁদের দাবি, পায়ের ছাপগুলি হায়না জাতীয় কোনও প্রাণীর। এর আগে ২০১৮ সালে লালগড়ে বাঘের দেখা মিলেছিল। বন দফতরের লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায় সেই বাঘের ছবি ধরা পড়েছিল। প্রায় ১ বছর পর স্থানীয় মানুষ সেই বাঘটিকে মেরে ফেলে। আবার নতুন করে বাঘের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। 


সম্প্রতি কুলতলি বিটে বাঘ সুমারি ( Tiger Census ) শুরু করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বন দফতর। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ১৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ট্র্যাপ ক্যামেরা পাতার কাজ। বনবিবির পুজো দিয়ে শুরু হয় বাঘ সুমারি।  ঘণ্টা বাজিয়ে বনবিবির পুজো । 


আরও পড়ুন- গ্রাম থেকে উদ্ধার মৃত ছাগল, ফের বাঘের আতঙ্ক লালগড়ে