অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: চলতি বছরের ব্লাইন্ড টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী হয়েছে ভারত। ফাইনালে বাংলাদেশকে ১২০ রানে হারিয়ে দিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। সেই দলের একমাত্র বাঙালি সদস্য অলরাউন্ডার শুভেন্দু মাহাতো। ঝাড়গ্রামের এই ক্রিকেটার এদিন বাড়ি ফিরলেন রাজকীয় সংবর্ধনার মধ্য দিয়ে। স্টেশন থেকেই তাঁকে বরণ করে নেন আত্মীয়রা। তাঁকে নিয়ে শোভাযাত্রা করে শুভেন্দুর বাড়ি যায় গ্রামবাসীরা। 


বাড়িতে ঢুকতেই শুভেন্দুর মা মিষ্টিমুখ করান তাঁর। এর কিছুক্ষণ পরেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে শুভেন্দুর বাড়িতে পৌঁছোন গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক ডাক্তার খগেন্দ্র নাথ মাহাতো। তিনি শুভেন্দুর হাতে পুষ্পস্তবক ও উত্তরীয় তুলে দেন। এত সম্মান ও অভ্যর্থনা পেয়ে বেজায় খুশি শুভেন্দু। উল্লেখ্য, জীবনের শুরুতে শুভেন্দু দু চোখেই দেখতে পেত। ছোটবেলায় একটা দুর্ঘটনার পর  থেকেই দৃষ্টিশক্তি হারান শুভেন্দু। দৃষ্টি হারালেও মনের জোর হারাননি তিনি।


উল্লেখ্য, চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দৃষ্টিহীনদের বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলতে মাঠে নেমেছিল ভারতীয় দল। লক্ষ্য ছিল বিশ্বকাপে নিজেদের একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রাখা। বাংলাদেশকে ১২০ রানের বিরাট ব্যবধানে হারিয়ে দেয় ভারত। সুনীল রমেশ ও ভারতীয় অধিনায়ক অজয় কুমার রেড্ডির শতরানের সুবাদেই নাগাড়ে তৃতীয়বার বিশ্বকাপ জেতে ভারতীয় দৃষ্টিহীন দল।


কাল বাংলার সামনে নাগাল্যান্ড


রঞ্জিতে নিজেদের দ্বিতীয় জয়ের লক্ষ্যে কাল মাঠে নামছে বাংলা। নাগাল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে কাল মাঠে নামছে লক্ষ্মীরতন শুক্লর দল। এর আগে ২ ম্যাচে ঝুলিতে ৯ পয়েন্ট পুরেছে বাংলা। গ্রুপ এ-র ম্যাচে কাল নাগাল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে নামছে টিম বেঙ্গল। এবারের রঞ্জিতে এটাই বাংলার প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচ। এর আগে ইডেনে খেলা হয়েছিল উত্তর প্রদেশ ও হিমাচল প্রদেশ ম্যাচ। 


কাল ম্যাচে নামার আগে বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল বলেন, ''মরসুমটা আমাদের দারুণ শুরু হয়েছে। এখানেও আমরা কঠিন একটা ম্যাচ খেলব। নিজেদের সেরাটা দিতে পারব, এই বিষয়ে আমি আশাবাদী। ছেলেরা নিজেদের সেরাটা দেওয়ার জন্য মরিয়া।''


উত্তরপ্রদেশকে ৬ উইকেটে হারানোর পর হিমাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ ড্র করেছে বাংলা। প্রতিপক্ষ হিসেবে নাগাল্যান্ড অবশ্যই অনেকটাই পিছিয়ে বাংলার তুলনায়। আগের দুটো ম্যাচে উত্তরাখণ্ড ও উত্তর প্রদেশের বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছে তারা। 


আগামীকালের ম্যাচেও অভিমন্যু ঈশ্বরণকে পাবে না বাংলা শিবির। সেক্ষেত্রে ফের একবার মনোজ তিওয়ারির নেতৃত্বেই খেলতে নামছে তারা। এমনিতে দলে কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ব্য়াটিং ডিপার্টমেন্টে টপ অর্ডারে অভিষেক দাস, কৌশিক ঘোষ, সুদীপ ঘরামিরা তাে রয়েইছেন। এছাড়া মিডল অর্ডারে মনোজ ও অনুষ্টুপের অভিজ্ঞতা বড় সম্পদ বাংলার।