কলকাতা : ইডি হেফাজতে জীবনকৃষ্ণ, ছবি দেখিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর। শুভেন্দু অধিকারীর নিশানায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 'কে কত টাকা তুলেছে, কোথায় গেছে, ছবিতে সব স্পষ্ট, জীবনের মতো কালেক্টরদের বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরা সবাই টাকা তুলে কালীঘাটে পৌঁছে দিত', জীবনকৃষ্ণরা হিমশৈলের চূড়া মাত্র, আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর। 

আরও পড়ুন, '..ভোটার লিস্ট থেকে নাম কাটার চেষ্টা', ফের কমিশনকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর

স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জীবনকৃষ্ণ সাহা ও তাঁর আত্মীয়দের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ আগেই মিলেছে। চাকরি-বিক্রির এজেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করে বিধায়ক হওয়ার পর ‘ঘুষের চাকরি’র নেটওয়ার্ক বানিয়ে ফেলেছিলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। এমনই দাবি করেছে ED. বিধায়ক, তাঁর আত্মীয় এবং ঘনিষ্ঠদের নামে আর কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছে কি না, তারও খোঁজ চলছে। জীবনবিমার এজেন্ট তো শোনা যায়। কিন্তু, জীবনই যদি এজেন্ট হয়। স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এমনই তথ্য় উঠে এসেছে বলে ইডি সূত্রে দাবি। নবম-দশমে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, সোমবার ফের নাটকীয়ভাবে গ্রেফতার হয়েছেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা।

ED সূত্রে দাবি, তৃণমূলের বিধায়ক হওয়ার আগে চাকরি-বিক্রির এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। বড়ঞার বিধায়ক হওয়ার পর ১০-১২ জনকে নিয়ে তৈরি করে ফেলেন চাকরি-বিক্রির নেটওয়ার্ক। এই এজেন্টদের দিয়েই ‘ঘুষ দিলে চাকরি’ হবে বলে চাকরিপ্রার্থীদের টোপ দেওয়া হত।সূত্রের দাবি, লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে, অযোগ্য়দের সরকারি চাকরি বিক্রি করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, চাকরি না পেয়ে কেউ টাকা ফেরত চাইলে, তাঁকে গ্রেফতার করানো বা তাঁর নামে FIR করার হুমকিও দিয়েছেন। ED সূত্রে দাবি, ২০১৯-’২০-’২১, এই ৩ বছরে জীবনকৃষ্ণ সাহা ও তাঁর স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ধাপে ধাপে জমা পড়েছিল ৫০ লক্ষ টাকা। 

এই টাকার উৎস সম্পর্কে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক। চাকরি-বিক্রির টাকা নগদে নেওয়া ছাড়াও অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফারও হয়েছে বলে ED দাবি করেছে। কুণাল ঘোষ বলেন, আইন আইনের পথে চলুক। যদি সত্যিই কেউ দোষ করে থাকে, তাহলে তদন্তে উঠে আসবে। আদালতে যাবেন। এই নিয়ে একটি শব্দও বলব না। কিন্তু সময় নিয়ে অবশ্যই বলব। যে প্রধানমন্ত্রী দু-চারদিন আগে একটা ভোট চাই-ভোট দিন এরকম গোছের কিছু কথা বলে...। সেদিন থেকেই আমরা অনুমান করছিলাম যে,  এবার নামবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলো।'